বহিঃরাজ্যের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করিয়ে দায়িত্ব খালাস দপ্তরের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে পড়ুয়ারা

নিজস্ব প্রতিনিধি, বিশালগড়, ১৬ জুলাই৷৷ ব্যাঙ্গালুরুতে পড়তে গিয়ে রাজ্যের এক ছাত্রী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে সেখানে হাসপাতালে ভর্তি৷ তার রক্তে প্লেটিলেইট যেখানে থাকার কথা দেড় থেকে চার লক্ষ  সেখানে মাত্র সাত্রিশ হাজার রয়েছে৷ যেকোন মুহুর্তে রক্তদেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে৷ খবরে জানা যায় ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে ত্রিপুরার সংখ্যালঘু কল্যাণদপ্তর থেকে ব্যাঙ্গালুরুর মাতরু কলেজে ১২ জন মেয়েকে জি এন এম কোর্সে ভর্তি করানো হয়৷ বর্তমানে তারা কলেজের গার্লস হোস্টেলে থাকছে৷ কিন্তু কিছুদিন পূর্বে ঐ হোস্টেলে ডেঙ্গু জ্বর দেখা দেয়৷ দেখতে দেখতে ৩ জন ছাত্রী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়৷ তার মধ্যে একজন রোজা পোদ্দর নামে উদয়পুরের মেয়ে রয়েছে৷ প্রথমে হাত পা ব্যথা করে প্রচন্ড জ্বর এসেছিল, তারপর সহপাঠী ও কলেজ কর্তৃপক্ষ হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ সেখানে পরীক্ষা নীরিক্ষায় ডেঙ্গু জ্বর ধরা পরে৷ তার বাড়িতে খবর দেওয়া হয়৷ ঐ হোস্টেলের পাশেই ঝোপঝাড়, নর্দমা রয়েছে৷ সেখানেই ডেঙ্গু বাহিত মশা রয়েছে৷ ঐ মশার কামড়েই ছাত্রীরা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে৷ কলেজ কর্তৃপক্ষকে আগাছা নর্দমা পরিস্কারের কথা বললেও এড়িয়ে যায় বলে অভিযোগ৷ তাছাড়া সংখ্যালঘু কল্যাণ দপ্তর ও অন্য রাজ্যে বিভিন্ন কোর্সে ভর্তি করানোর পর তাদের আর খোঁজ খবর রাখছে না বলে অভিভাবক মহল থেকে অভিযোগ করেছে৷ তাছাড়া বহু কলেজের হোস্টেলে ছাত্র ছাত্রীদের নিম্মমানের খাবার ও প্রদান করা হচ্ছে৷ অথচ সংখ্যালঘু কল্যান দপ্তর সুখ নিদ্রায় আচ্ছন্ন৷ বর্তমানে ব্যাঙ্গালুরু শহরে ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুভার্ব বেড়েছে৷ রাজ্যের বেশির ভাগ ছাত্র-ছাত্রী বিভিন্ন কোর্সে ঐ শহরেই পড়াশুনা করছে৷ ফলে রাজ্য সরকারের উচিত কলেজ গুলির কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলা৷ যাতে আর কোন ছাত্র-ছাত্রী ঐ রোগে আক্রান্ত না হয়৷ রাজ্য সরকার যাতে দ্রুত কোন পদক্ষেপ গ্রহন করে সেই দাবী তুলেছেন অভিভাবকরা৷