বিজেপি রাজ্য সভাপতির জনসংযোগ কর্মসূচী

আগরতলা, ১১ জুলাই৷৷ ভারতীয় জনতা পার্টির ত্রিপুরা প্রদেশ সভাপতি বিপ্লব কুমার দেব তিনদিন ব্যাপি বুথলেভের প্রবাস করছেন আগরতলা স্থিত ৪-নং রামনগর মণ্ডলে৷ প্রবাস চলাকলীন ৮নং বুথে প্রত্যেক বাড়িতে উপস্থিত হয়ে জনসাধারনের অসুবিধার খোঁজ খবর নেওয়া থেকে শুরু করে বুথ লেভেলের কার্যকর্তাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে মিলিত হন৷ তিনি বুথ লেভেলের বৈঠকে কার্যকর্তাগণ জালি ভোটার থেকে শুরু করে জনসাধারণ কোন প্রকল্পে কিভাবে যোগ্য হওয়া সত্বেও বঞ্চিত হচ্ছেন, তার পরিবারভিত্তিক হিসেব তুলে ধরে বিস্তৃত চর্চা করেন৷ এই প্রবাস কালেে সভাপতি শ্রী দেব, মন্ডলের কার্যকর্র্তাদের বানিতে তিনবেলা ভোজন সেরেছেন এবং রাত্রিও যাপন করেছেন৷ শ্রী দেবের এই প্রবাস ঘিরে আম জনতার মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে৷ প্রবাস চলাকালীণ এক ৮২ বছর বয়স্কা বৃদ্ধা মহিলা অভিযোগ করেন, উনার স্বামী মারা যাবার চার বছর পরও স্ত্রী হিসেবে প্রাপ্য পেনশন থেকে তিনি বঞ্চিত, কারন অসুস্থতার জন্য শারীরিক ভাবে তিনি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সামনে উপস্থিত হতে পারেন নি৷ সাথে সাথে প্রদেশ সভাপতি সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাঙ্কের আধিকারিক -কে টেলিফোনে সমস্ত বিবরণ দিয়ে শীঘ্রই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে তা বিবেচনা করার অনুরোধ জানান৷ অবশেষে জানা যায়, পরের দিনই ব্যাঙ্কের কর্মীরা উক্ত মহিলার বাড়িতে এসে সব ভেরিফিকেশান করে যান এবং অব্যবহিত পরে তাঁর একাইন্ট এ চার বছরের বকেয়া পেনশনের টাকা চলে আসে৷ এতে এলাকার জনগনের মধ্যে ব্যাপক আনন্দের সঞ্চার হয়৷
এদিকে, স্বতস্ফূর্তভাবে জনগন বিজেপি সভাপতিকে চোখের সামনে দেখতে পেয়ে নালিশ জানান, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড অফিসের ঠিক পেছনে এক নর্মদাকে কেন্দ্র করে অঙ্গনওয়াড়ী সেন্টারে এলাকার কচি-কাচা দের সাংঘাতিক দুর্ভোগ পোহাতে হয়৷ এলাকার কাউন্সিলারের এনিয়ে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই, জনগন অভিযোগ করেন৷ পরে শ্রী দেব এলাকার পার্টি নেতৃত্বকে নির্দেশ দেন, যে অবিলম্বে এলাকার জনগণ কে পাশে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলা হয়৷