বেরোজগারকে স্বরোজগার করে তুলার প্রয়াস নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ঃ কালরাজ মিশ্র

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫ জুন৷৷ আনন্দঘন অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে আজ দুপুরে ইন্দ্রনগরে মাইক্রো, স্মল এন্ড মিডিয়াম এন্টার প্রাইসেস-এর ডেভেলাপমেন্ট ইনস্টিটিউট এন্ড মিনি টুনল রুমের নতুন বাড়ির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কলরাজ মিশ্র৷ অনুষ্ঠানে শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী তপন চক্রবর্তী এবং কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের পদস্থ আধিকারিগণ উপস্থিত ছিলেন৷
কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্প দপ্তরের মন্ত্রী কলরাজ মিশ্র বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার দেশে ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্পের বিকাশে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে৷ তিনি বলেন, দেশের ৬৫ ভাগ মানুষের বয়স ৩৫ বছরের নীচে৷ কিন্তু তাদের কর্মসংস্থানের অভাব রয়েছে৷ তাই বেরোজগারকে স্বরোজগার করে তুলার প্রয়াস নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ ইতিমধ্যেই ত্রিপুরা সরকার এই কাজ শুরু করায় তিনি রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান৷ তিনি বলেন, ত্রিপুরার বাঁশ এবং রাবার ভিত্তিক শিল্পের প্রশিক্ষণে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে৷
কেন্দ্রীয় মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প মন্ত্রকের অধীনস্ত এই সংস্থাটি বিভিন্ন রাজ্যে শিল্পোদ্যোগীদের প্রশিক্ষণ দেয়৷ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটির নতুন বাড়ির উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার আশা প্রকাশ করেন এই কেন্দ্রটি বেকার যুবক যুবতীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে৷ তিনি বলেন, আমাদের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে কোন রাজ্য একা এগিয়ে যেতে পারবেনা৷ কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার যৌথভাবে কাজ করলেই রাজ্যের ও দেশের উন্নতি হবে৷ চিনের পর ভারতের বাজারই বিশ্বে সব থেকে বড়৷ ভারতের জনসংখ্যার অনুপাত থেকে বোঝা যায় এখানে যুবক যুবতীদের সংখ্যা বিরাট৷ কিন্তু দেশের প্রায় ২৫ কোটি যুবক যুবতী এখনো কর্মহীন৷ তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে না পারলে দেশ এগিয়ে যেতে পারবে না৷ তাই এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে আরও বেশী গুরুত্ব দিতে হবে৷
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আমাদের দেশে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমছে৷ বাজারে জিনিসপত্র থাকলেও কেনার লোক নেই৷ মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতি করে ক্রয় ক্ষমতা না বাড়াতে পারলে শিল্পেরও প্রসার হবেনা৷ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সমাজের সব অংশের প্রতি সমান গুরুত্ব দিতে হবে৷ তাদের আর্থ সামাজিক অবসথার উন্নতি করতে হবে৷ দেখা যাচ্ছে মানুষ গ্রাম ছেড়ে কাজের সন্ধ্যানে শহরে নগরে ভীড় জমাচ্ছে৷ তাই ভারতের গ্রামীণ অর্থনীতির আরও উন্নতি করতে হবে৷
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বেকারদের স্বাবলম্বী করে তুলতে কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্প মন্ত্রক যে প্রয়াস নিচ্ছে তাতে রাজ্য সরকার সব ধরণের সাহায্য করবে৷ আলোচনায় শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী তপন চক্রবর্তী বলেন, আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতিতে রাজ্য সরকার ক্ষুদ্র শিল্পে বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণ করছে৷ বেকারদের স্বাবলম্বী করে তুলতে পি এম ই জি পি প্রকল্পটি অনুঘটকের কাজ করছে৷ কিন্তু ত্রিপুরায় ব্যাঙ্কের সিডি রেশিও খুব কম হওয়ায় বেকার যুবক যুবতীদের ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরী হচ্ছে৷ এ বিষয়ে সদর্থক ভূমিকা নিতে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানান৷
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এম এস এম ই-এর ডি আই আর কে গিরি৷ অতিথিগণ সংস্থার সাফল্য সম্বলিত একটি পুস্তিকা প্রকাশ করেন৷ বক্তব্য রাখেন এ আর আই এর যুগ্ম সচিব বি এইচ কুমার প্রমুখ৷