নিজস্ব প্রতিনিধি, বিশালগড়, ২১ জুন৷৷ প্রধান শিক্ষকের বদান্যতায় কর্মসংসৃকতি ও পড়াশুনা লাটে উঠেছে বিশালগড়স্থিত কড়ইমুড়া অমর্ত্য সেন মডেল সুকলে৷ অভিভাবকদের অভিযোগে জানা যায় প্রধান শিক্ষক সুশান্ত বাবু বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন দশটা পঞ্চাশ মিনিটে৷ কখনো কখনো প্রার্থনা সভা শুরুর দুই মিনিট আগে কোন রকমে বিদ্যালয়ে আসে৷ সুশান্ত বাবু যখন খুশি তখন নানা অজুহাতে বিদ্যালয় ত্যাগ করেন বলে অভিযোগ৷ কখনো ভানু বাবুর মিটিং কিংবা কোথাও পার্টির কনভেনশন৷ এই ভাবেই চলছে বিদ্যালয়টি৷ যার ফলে অভিভাবক হীনতায় ভোগছে বিদ্যালয়টি৷ প্রধান শিক্ষক প্রতিদিন ক্লাশ করেন সবেমাত্র ২টি৷ তাও তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর স্পোকেন ইংলিশ৷ বাকী সময় নিজের অফিস কক্ষে সময় কাটান৷ কোন ছাত্রের সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করলে তাকে অযথা হয়রানী করেন বলে অভিযোগ৷ বেসরকারী সুকলে দিনের পর দিন মান বৃদ্ধি পাওয়ার কথা অথচ সুশান্ত বাবু এই বিদ্যালয়ে আসার পর বিদ্যালয়ের মান নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ৷ বিদ্যালয়টি সরকারী অনুমোদন প্রাপ্ত হাইসুকল৷ সরকারী নিয়ম অনুযায়ী হাইসুকলের প্রধান শিক্ষকের বিএড অবশ্যই থাকতে হবে৷ কিন্তু সুশান্ত বাবুর বিএড নেই৷ এই নিয়ে অভিভাবকরা বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির সম্পাদক তথা সিপাহীজলা জেলা সভাধিপতির গোচরে আনলেও উনি কোন কর্নপাত করেননি বলে অভিযোগ৷ তারা আরো অভিযোগে জানান প্রধান শিক্ষকের যোগ্যতা না থাকা সত্বেও উনি সম্পাদকের করুনায় দিব্যি বহাল তবিয়তে রয়েছেন৷ সুশান্ত বাবু ২০১২ সালে এই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদান করার পর প্রতি বছর বিদ্যালয়ে থেকে বহু ছাত্র ছাত্রী ট্রান্সফার নিয়ে অন্য বিদ্যালয়ে চলে যাচ্ছে৷ বিদ্যালয়ের কর্ম-সংসৃকতি ও পঠন পাঠন উনার আমলে হারিয়ে ফেলে৷ যোগ্যতাহীন প্রধান শিক্ষকের হাত থেকে বিদ্যালয়টি রক্ষা করার জন্য পারিচালন কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে অভিভাবকরা৷ উল্লেখ্য কিছু দিন পূর্বে এই বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে দূর্নীতি সংক্লান্ত খবর ছাপা হয়েছিল এই পত্রিকায়৷ সম্পাদকের আইন পেশায় যুক্ত মেয়েকে অবৈধ ভাবে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করেছিলেন৷ এই খবর বের হতেই এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের মধ্যে ছিঃছিঃ রব উঠেছে৷
2017-06-22

