গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে স্বামী ও শাশুড়ি জেল হেপাজতে

নিজস্ব প্রতিনিধি, কমলাসাগর, ১৭ জুন৷৷ গৃহবধূ খুনের আড়াই মাস পরে অবশেষে গ্রেপ্তার হল স্বামী এবং শ্বাশুরী৷ আমতলী থানার পুলিশ আধিকারিক সুদীপ পালের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার দুই অভিযুক্ত স্বামী কামাল মিঞা এবং শ্বাশুরী মিনারা বেগমকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ৷ দুই অভিযুক্ত শশুর বাচ্চু মিঞা এবং ননদের জামাই বাহার মিঞা এখনো পুলিশের নাগালের বাইরে৷ তবে জানা যায় ননদের জামাই আবার শাসক দলের চুনিপুটি নেতা বলে পরিচিত এলাকায়৷ এই দুই আসামী পলাতক বলে জানা যায়৷ গত ৩১ শে মার্চ শচিন্দ্রলাল পশ্চিম পাড়া বাচ্চু মিঞার ছেলের বৌকে চার জন মিলে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে হত্যা করা হয়৷ ১লা এপ্রিল গৃহবধূর মা আমতলী থানায় চার জন অভিযুক্ত নামে মামলা করে৷ কিন্তু দীর্ঘ আড়াই মাস নারী সংগঠনের কর্মীরা এবং বিরোধী দলের কর্মীরা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবী নিয়ে আন্দোলন করেন৷ জানা যায়, গত পনের বছর আগে আমতলী থানাধিন পান্ডবপুরের রাজেশ্বরী নগর এলাকার মৃত মন মিঞার কন্যাকে সামাজিক ভাবে বিয়ে দেয় শচিন্দ্র লাল পশ্চিম পাড়া এলাকার বাচ্চু মিঞার ছেলের সাথে৷ বিয়ের পর থেকেই গৃহবধূ ঝুমাকে মদমত্ত অবস্থায় মারধর করত৷ অবশেষে তাকে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে হত্যা করা হয়৷ গৃহবধূ ঝুমা বেগম পুলিশের কাছে জবানবন্দি দিয়ে মারা যায়৷ গৃহধূর হত্যার স্বামী এবং শাশুরীকে আজ বিশালগড় মহকুমার আদালতে তোলা হয়৷ অভিযুক্তদের আগামী ২৭-৬-২০১৭ তারিখ পর্যন্ত বিশালগড় জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেয়৷