নিজস্ব প্রতিনিধি, কমলপুর, ১৫ জুন৷৷ এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কমলপুর মহকুমার দুর্গাচৌমুহনী কৃষি মহকুমার অন্তর্গত কৃষক

জ্ঞান বিতরণ কেন্দ্র এবং সালেমা কৃষি মহকুমা অন্তর্গত হালাহালী কৃষি আঞ্চলিক কার্যালয়ের দ্বিতল ভবনের দ্বারোদঘাটন করেন কৃষিমন্ত্রী অঘোর দেববর্মা৷ রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশে যোজনায় ৩৫ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা ব্যয়ে এই ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে৷ উদ্বোধকের ভাষণে কৃষিমন্ত্রী অঘোর দেববর্মা বলেন, দেশ স্বাধীন হয়েছে ৭০ বছর পূর্বে৷ আজ অব্দি কৃষক ও কৃষিজমি সংক্রান্ত নির্দিষ্ট কোন কেন্দ্রীয় নীতি গড়ে উঠেনি৷ ফলে দিন দিন কৃষিকাজ একটি অলাভজনক পেশায় পরিণত হচ্ছে৷ দেশে প্রতিদিন কৃষকরা ঋণের দায়ে আত্মহত্যা করছে৷ কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, মধ্য প্রদেশের কৃষকরা বিদ্রোহ করছে সরকারের বিরুদ্ধে৷ কিন্তু এই ছোট্ট রাজ্য ত্রিপুরার কৃষকদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা অনেক স্বচ্ছল৷ তিনি আরও বলেন, বৈজ্ঞানিক প্রথায় চাষের ফলে উৎপাদন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে৷ এই রাজ্যকে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে পরিকল্পনা মাফিক কাজ করা হচ্ছে৷ রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্য কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার৷ তাই উন্নত প্রযুক্তি সহ উন্নত মানের বীজ, সার, যন্ত্রপাতির ব্যবহার কৃষকদের শেখানোর ক্ষেত্রে কৃষকদের জ্ঞান বিতরণ কেন্দ্রের ভূমিকা সর্বাধিক৷ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে বিধায়ক অঞ্জন দাস বলেন, মহকুমায় অনেক উদ্যমী কৃষক রয়েছেন৷ তারা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য মুখিয়ে আছে৷ আর এক্ষেত্রে কৃষক জ্ঞান বিতরণ কেন্দ্র বিশাল ভূমিকা গ্রহণ করবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন৷ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন – দুর্গাচৌমুহনী বি এ সি’র চেয়ারম্যান সঞ্জিৎ দেববর্মা, কৃষি দপ্তরের ধলাইজেলা উপ-অধিকর্তা দর্পণ বিশ্বাস প্রমুখ৷ সভাপতিত্ব করেন দুর্গাচৌমুহনী পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান মানবেন্দ্র দেব এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন দুর্গাচৌমুহনী মহকুমা কৃষি আধিকারিক পার্থ প্রতিম রায়৷
এই অনুষ্ঠানের পর কৃষি মন্ত্রী অঘোর দেববর্মা দুর্গাচৌমুহনী ব্লকস্থিত দক্ষিণ মানিক ভান্ডারে একটি কৃষি বীজগারেরও দ্বারোদঘাটন করেন৷ এটি নির্মাণে রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশে যোজনায় ১১ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকা ব্যয় হয়৷

