মস্কো, ১১ জুন (হি.স.) : মস্কোয় বন্দুকবাজের হামলা । শনিবার রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর দক্ষিণ–পূর্বে রামেনস্কি জেলার ক্রাতোভো গ্রামে এই ঘটনা। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ক্রাটোভো গ্রামে একটি বাড়ি থেকে শিকার করার বন্দুক দিয়ে এক ব্যক্তি পথচারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে। খবর পেয়ে এলাকাটি ঘিরে ফেলে পুলিশ ও রাশিয়ান ন্যাশনাল গার্ডের যৌথ বাহিনী। নিরাপত্তারক্ষীরা ওই বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করা হলে বন্দুকবাজ গুলি চালায় ও গ্রেনেড ছোঁড়ে। ওই ঘটনায় হামলাকারীকে খতম করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, শনিবার নিজের বাড়ির জানলায় বসে শিকারি বন্দুক থেকে পথচারীদের লক্ষ্য করে আচমকা গুলি চালাতে শুরু করে ওই হামলাকারী। গুলিবিদ্ধ হন পাঁচজন। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান একজন। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় আরও একজনের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশ। বাড়িটি ঘিরে ফেলে তারা। কিন্তু তাদের লক্ষ্য করেও গুলি ছুঁড়তে শুরু করে সে। দু’টি গ্রেনেডও ছোঁড়ে। তাতে জখম হন চার পুলিশকর্মী। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন আততায়ীর বাবাও। ছেলেকে আত্মসমর্পণের জন্য অনুরোধ করেন তিনি। কিন্তু তাঁর কথা কানে তোলেনি বন্দুকবাজ। কয়েক ঘণ্টা ধরে গুলি বিনিময় চলার পর বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় সে। তবে বেশিদূর এগোতে পারেনি। তার আগেই পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়। তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে আরও দু’টি দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে ঠিক কী কারণে হামলা চালানো হয় তা এখনও জানা যায়নি।
প্রতিবেশিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, হামলাকারীর নাম ইগোর। রুশ সরকারের হয়ে একসময় চাচেনে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযানে যোগ দিয়েছিল। সেখানকার আপদকালীন বিভাগের হয়েও কাজ করেছিল। গত কয়েক বছর ধরে মায়ের সঙ্গে ওই বাড়িতে থাকছিল সে। মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল। প্রাথমিক তদন্তের পর রুশ আইনের ৩১৭ (সরকারি কর্মকর্তাকে প্রাণনাশের হুমকি), ২২২ (বেআইনি অস্ত্র মজুত রাখা) এবং ১০৫ ধারার দ্বিতীয় প্রচ্ছদ (দুই বার ততোধিক ব্যক্তিকে খুন) অনুযায়ী মামলা দায়ের হয়েছে। ঠিক কী কারণে ইগোর হামলা চালিয়েছে, তা এখনও পর্যন্ত তা জানা যায়নি। রুশ গোয়েন্দারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে, নিজের নামে কখনও কোনও বন্দুকই রেজিস্টার্ড করায়নি সে।
2017-06-11

