অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত অন্তঃসত্বা গৃহবধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ১০ জুন৷৷ নিজ বাড়িতে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় রূপা দাস (২১) নামের এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে শুক্রবার৷ চড়িলামের রাঙ্গাপানিয়া এলাকায় ঘটে এই ঘটনা৷ ঐ গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে নানা জল্পনা চলছে৷ এটি একটি আত্মহত্যা, নাকি হত্যা, এই প্রশ্ণ উঠছে৷ যদিও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে ঐ গর্ভবতী গৃহবধূর বিয়ের পরও বাপের বাড়ির পাশের এক যুবকের সাথে অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে৷ আর তা জানতে পারেন স্বামী৷ এলাকাবাসীর অনুমান হয়তো এই বিষয়টি নিয়েই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনমালিন্যের জন্য আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে রূপা৷
রাঙ্গাপানিয়া গ্রামের বাসিন্দা বাসুদেব রায়ের সাথে বিশালগড়ের নেতাজীনগর গ্রামের সুনীল দাসের মেয়ে রূপার সামাজিক নিয়মনীতি মেনে বিয়ে হয়েছিল৷ তাদের বিবাহিত জীবন ভালোই চলছিল৷ বিয়ের ছয় বছরের মাথায় ঘটে এক দুঃখজনক ঘটনা৷ রূপা সুন্দরী বটে তবে বাপের বাড়ির পাশে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমে লিপ্ত হয়ে পড়ে রূপা৷ এবিষয়ে তার শ্বশুড় বাড়ির লোকজনের গোচরে আসে৷ তখন ঘটে এমন বিপত্তি৷ এলাকা সূত্রে খবর, রূপার বিয়ে যদিও ৬ বছর হয়েছে৷ কিন্তু রূপা ৫ মাসের গর্ভবতী ছিল৷
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রূপার পরকীয়া প্রেমের কাহিনী জানতে পারে বাসুদেব৷ তবুও কিছু বলেনি স্ত্রীকে৷ ভালোভাবে সংসার পরিচালনা করার পরমার্শ দেন তিনি৷ স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে কিছু কথা কাটাকাটি হলেও তা স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসে৷ তবে কেন এই আত্মহত্যা এই নিয়ে চলছে এলাকায় গুঞ্জন৷ প্রসঙ্গ শুক্রবার বাসুদেবের স্ত্রী গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঘরের মধ্যে আত্মহত্যা করে৷ তাকে ডাকাডাকি করে কোন সারা শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করতে হয়৷ ঘরে প্রবেশ করে দেখা যায় ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে রূপা৷ সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয়েছে বিশালগড় থানা এবং মহিলা থানায়৷ ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বিশালগড় থানার পুলিশ৷ মৃতদেহ উদ্ধার করে শুক্রবার রাতেই বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে মর্গে রাখা হয়৷ শনিবার ময়না তদন্তের পর মৃতদেহ নিকটাত্মীয়দের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে৷ এই বিষয়ে থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে৷