আগরতলায় বিভিন্ন সুকলের নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ জুন৷৷ মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার আজ আগরতলা শহরের ১১টি সুকলের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন৷ শিক্ষার পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কর্মসূচীতে এসমস্ত সুকলের নতুন পাকা বাড়ির নির্মীয়মান কাজের অগ্রগতি বিষয়েও তিনি খোঁজ খবর নেন৷ প্রথমেই তিনি বিজয়কুমার গার্লস এইচ এস সুকলে নির্মীয়মান দ্বিতল নতুন পাকা বাড়ীর নির্মাণ কাজের অগ্রগতিকর খোঁজ খবর নেন এবং আগষ্ট মাসের মধ্যে এর নির্মাণকার্য সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন৷ পাশাপাশি তিনি বিদ্যালয়ের জন্য নতুন একটি বড় আকারের গেইট করার জন্যও বলেন৷ পূর্ত দপ্তর ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এই নির্মাণকার্যটি করছেন৷ এরপর তিনি বানীবিদ্যাপীঠ গার্লস সুকলে যান৷ এখানে তিনি ত্রিপুরা আবাসন নির্মাণ পর্ষদ কর্তৃক ৪ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মীয়মান বিদ্যালয়ের দ্বিতল বাড়ী, জলের ব্যবস্থা সহ অন্যন্য কাজের অগ্রগতির খোঁজখবর নেন এবং আগামী সেপ্ঢেম্বরের মধ্যে সমস্ত নির্মাণকার্য সমন্ন করার জন্য নির্দেশ দেন৷ এরপর তিনি রাজনগর এইচ এস সুকলে নির্মীয়মান কাজ পরিদর্শন করেন৷ মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এই সুকলের নির্মাণ কাজ দ্রুত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন৷ ত্রিপুরা আবাসন নির্মাণ পর্ষদ এই নির্মাণ কাজটি করছে৷ এতে ৪ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা ব্যয় হবে৷ এখানে মুখ্যমন্ত্রী শ্রীসরকার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার কাছে পরীক্ষার ফলাফল ও পঠন পাঠনেরও খোঁজ খবর নন৷ এরপর তিনি উমাকান্ত একাডেমীতে পূর্ত দপ্তরের অধীনে ৫ কোটি ৩০ লক্ষ ৩১ হাজার ৯৪ টাকা ব্যয়ে নির্মীয়মান নতুন পাকাবাড়ী (এক্সটেনশন) সহ অন্যান্য কাজের অগ্রগতির খোঁজখবর নেন৷ সেখান থেকে তিনি নেতাজী সুভাষ বিদ্যানিকেতনে যান এবং নির্মীয়মান ত্রিতল পাকা বাড়ীর কাজের অগ্রগতির খোঁজখবর নেন এবং বাউন্ডারী ওয়ালের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য বলেন,৷ পূর্ত দপ্তর এই কাজটি করছে এবং ২০১৮ এর আগষ্ট মাসের মধ্য কাজটি সম্পন্ন করা হবে৷ এতে মোট ব্যয় হচ্ছে ৮ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা৷ এরপর তিনি সখীচরন বিদ্যানিকেতনে গিয়ে নতুন দ্বিতল দালান বাড়ীর কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য বলেন৷ বর্তমানে এই বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন নেতাজী সুভাষ বিদ্যানিকেতনে হচ্ছে৷ এই বিদ্যালয়ের দালান বাড়ী নির্মাণের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৭৬ লক্ষ ৩১ হাজার ৫৭৬ টাকা৷ এরপর তিনি রামঠাকুর বয়েজ এইচ এস সুকলে হয়ে কামিনী কুমার সিংহ মেমোরিয়াল এইচস এস সুকলে যান৷ এখানে তিনি নির্মীয়মান বিদ্যালয়ের নতুন দ্বিতল বাড়ীর কাজটি চলতি মাসের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশ দেন৷ এর ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৫ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা৷ এখানে আগরতলা পুর নিগমের মেয়র ড প্রফুল্লজিৎ সিনহা উপস্থিত ছিলেন৷ এরপর তিনি রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দে বিদ্যানিকেতনের নতুন দ্বিতল পাকা বাড়ীর নির্মাণ স্থলে যান এবং দ্রুত কাজ শুরু করার জন্য নির্দেশ দেন৷ এই সুকলটির নির্মাণে ব্যয় হবে ৭ কোটি ৯৪ লক্ষ টাকা এর মতো৷ সেখান থেকে তিনি প্রাচ্যভারতী বিদ্যানিকেতনে নির্মীয়মান দ্বিতল বাড়ীর অগ্রগতির খোঁজখবর নেন৷ পাশাপাশি বাউন্ডারী ওয়াল, মাঠ লেভেলিং ইত্যাদি বিষয়েও খোঁজখবর নেন৷ তিনি এখানে এখটি অডিটোরিয়াম নির্মাণের জন্যও নির্দেশ দেন৷ ত্রিপুরা আবাসন নির্মান পর্ষদ এই কাজটি করছে৷ এতে ব্যয় বরাদ্দ ধরা আছে ৭ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা৷ সেপ্ঢেম্বর মাসের মধ্যেই নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হবে৷ সর্বশেষে তিনি বোধজং বয়েজ এইচ সুকলে যান এবং নির্মীয়মান বিদ্যালয়ের দ্বিতল বাড়ীর পরিদর্শন করেন৷ সেখানে তিনি নির্মাণ কাজের সাথে যুক্ত বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের সাথে আলোচনায় মিলিত হন৷ ত্রিপুরা আবাসন নির্মাণ পর্ষদ এর নির্মাণকার্য করছে এবং এতে ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১৩ কোটি ৬ লক্ষ টাকা৷ পরিদর্শনকালে মুখ্যমন্ত্রী সাথে ছিলেন ত্রিপুরা আবাসন নির্মাণ পর্ষদের সি ই ও অমর দাস, পূর্ত দপ্তরের মুখ্য বাস্তুকার, এলিমেন্টারী এ্যাডুকেশনের অধিকর্তা কুন্তল দাস সহ অন্যন্য দপ্তরের আধিকারিকগণ৷