গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার হচ্ছে না অভিযুক্তরা, মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ

নিজস্ব প্রতিনিধি, কমলাসাগর, ৩ জুন৷৷ গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার পর মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়ার ঘটনাকে ঘিরে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে মৃতার পরিবারের লোকজনের মধ্যে৷ একই সঙ্গে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে এলাকাবাসীর মধ্যে৷ আমতলী থানার অধীন পান্ডবপুর এলাকায় এক গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে৷ ঘটনাটি ঘটেছিল প্রায় দুই মাস আগে৷ সংবাদে প্রকাশ, ১৫ মাস আগে আমতলী থানাধীন পান্ডবপুরের রাজেশ্বরী নগরের বাসিন্দা মন মিয়ার মেয়ের বিয়ে হয়ে শচীন্দ্রলাল পশ্চিম পাড়ার বাচ্চু মিয়ার ছেলে কামাল মিয়ার সাথে৷ অভিযোগ বিয়ের পরেই স্বামী কামাল মিয়া এবং ননদের জামাই বাহার মিয়া গৃহবধূর বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দিতে থাকে৷ কিন্তু, পিতৃহারা গৃহবধূ ঝুমা বেগন বাপের বাড়িতে এসে বিষয়টি জানায়৷ দারিদ্র্যতার জন্য বাপের বাড়ির তরফ থেকে টাকা দিতে পারেনি৷ ৩১ মার্চ সেই গৃহবধূর সাথে সামান্য বিষয় নিয়ে শাশুড়ি মিনারা বেগম তুমুল বাক বিতন্ডা করে৷ পরে ঝুমা বেগমের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় ঘরের ভেতর৷ আগুনে শরীরে সিংহভাগ অংশ পুনে যায়৷ এমন সময় বাড়িতে আসে স্বামী এবং ননদ৷ কিন্তু, স্বামী বাড়িতে আসতেই গৃহবধূ ভেবেছিলেন তাকে রক্ষা করবে৷ শেষ পর্যন্ত ছুটে আসে গৃহবধূর মাসি৷ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ সেখানে পুলিশের কাছে জবান বন্দি দিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ঝুমা বেগম৷
বিষয়টি জানিয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ কিন্তু, আজ পর্যন্ত পুলিশ কাউকেই গ্রেপ্তার করেনি৷ গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকদের অসহায় অবস্থায় পুলিশ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না৷ পুলিশের সাথে মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন যোগাযোগ করলে পুলিশ উল্টো বলে যে মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য৷ পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ হত্যা মামলায় অভিযুক্তদের পার পাইয়ে দেওয়ার জন্য মোটা অংকের টাকা লেনদেন হয়েছে৷ তাই পুলিশ সুবিচার পাইয়ে দেওয়ার বদলে মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিচ্ছে৷ পুলিশের এহেন কার্যকলাপে মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন রীতিমতো ক্ষুব্ধ৷ একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণও৷