BRAKING NEWS

পালাটানার রঞ্জিত দাস হত্যা মামলায় তপন পাল পুলিশ রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিনিধি, উদয়পুর, ২৩ মে৷৷ পালাটানার রঞ্জিত দাস হত্যাকান্ডের মামলায় অভিযুক্ত তপন পালকে পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক৷ মঙ্গলবার তাকে কাকড়াবন থানার পুলিশ উদয়পুর সিজেএম কোর্টে সোপর্দ করে৷ পুলিশের তরফ থেকে কোর্টের কাছে আর্জি জানানো হয়েছিল অভিযুক্তকে পুলিশ রিমান্ডে দেওয়ার জন্য৷ সেই মোতাবেক বিচারক পুলিশ রিমান্ডের আর্জি মঞ্জুর করেছে৷ কাকড়াবন থানার পুলিশ অভিযুক্ত তপন পালকে রিমান্ডে নিয়ে জোর জিজ্ঞাসাবাদ করছে৷ পুলিশ জানতে চাইছে এই হত্যাকান্ডে তপন পালের সাথে আর কেউ যুক্ত রয়েছে কি না৷ যদিও অভিযুক্ত তপন পাল সোমবার গ্রেপ্তার হওয়ার পর পুলিশকে জানিয়েছিল কিভাবে এবং কেন তার ভায়রা রঞ্জিত দাসকে হত্যা করেছে৷
প্রসঙ্গত, জানা গিয়েছে, রঞ্জিত দাস ও তপন পাল দুজনে ভায়রা ভাই৷ রঞ্জিত দাসের শ্যালিকার জামাতা তপন পাল৷ তপল পালের বিয়ের আগে থেকেই রঞ্জিতের সাথে অবৈধ সম্পর্ক ছিল তপনের স্ত্রী তথা শ্যালিকার৷ জামতা ও শ্যালিকার অবৈধ সম্পর্কের বিষয়টি দুই পরিবারের লোকজন জানতেন৷ পরে তপন পালের সাথে বিয়ে হয়৷ বিয়ের পরও তার স্ত্রী রঞ্জিত দাসের সাথে সম্পর্ক জিইয়ে রাখে৷ এই বিষয়টি কোনভাবেই মানতে পারছিল না তপন৷ সবক্ষেত্রেই রঞ্জিত দাসের সাফাই গাইত তপনের স্ত্রী৷ বহু দরবার হওয়ার পরও এই অবৈধ সম্পর্কের ইতি টানা সম্ভব হয়নি৷ এনিয়ে তপন ক্ষুব্ধ হয়ে একবার রঞ্জিতকে হত্যার চেষ্টাও করেছিল৷ ঐসময় প্রাণে বেঁচে যায় রঞ্জিত৷ এরপর পেশায় দর্জি তপন পাল পানীসাগরে চলে যায়৷ দেড় বছর ধরে সেখানেই দোকান চালান৷ মাঝে মধ্যে বাড়িতে আসেন৷ কিন্তু, তার বন্ধু বান্ধবদের মারফত প্রতিনিয়তই খবর পেতেন যে তার স্ত্রীর সাথে রঞ্জিতের অবাধ মেলামেশার৷ বিবাহিত রঞ্জিতও এই অবৈধ সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেনি৷ কিছুদিন আগে তপন বাড়িতে আসেন৷ সেই থেকে সে পরিকল্পনা নিচ্ছিল যে কবে কখন রঞ্জিতকে সুযোগ মতো হত্যা করা যায়৷ সেই মোতাবেক রবিবার রাতে তপন তার পরিকল্পনাকে বাস্তব রূপ দিতে সফল হয়েছে৷ পুলিশ যখন তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায় তখন সে এই পরিকল্পিত হত্যাকান্ডের পুরো ঘটনা সবিস্তারে জানিয়ে দায় স্বীকার করে নিয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *