নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ মে৷৷ আনোয়ারা চৌধুরী হত্যাকান্ড ইস্যুতে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের উপর এখন ক্ষোভ বাড়ছে৷
গতকাল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের পর আজ শুক্রবার একই ইস্যুতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে পুলিশের প্রচন্ড ধস্তাধস্তি হয়েছে৷ পুলিশ পরে লাঠিচার্জও করে৷ এতে আহত হয়েছে তিনজন ছাত্র নেতা৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাস্থ্য অধিকর্তার কার্যালয় চত্বরে প্রচন্ড উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে৷ শুক্রবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদ স্বাস্থ্য অধিকর্তা কার্যালয় চত্বরে গিয়ে হাজির হয়৷ সংগঠনের এক প্রতিনিধিদল স্বাস্থ্য অধিকর্তার সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করে৷ কিন্তু তাদের আবেদন নাকচ হয়ে যাওয়ার পর তৃণমূল ছাত্র পরিষদ স্বাস্থ্য অধিকর্তার কার্যালয় ঘেরাও করে৷ দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও চলার পর পুলিশ তাদের সরাতে ব্যর্থ হয়ে লাঠি চার্জ করে ফলে দুইজন ছাত্রী সহ তিনজন আন্দোলনকারী জখম হন৷ এই অবস্থায় আন্দোলনকারীরা ওই স্থান থেকে ছুটে এসে আচমকা রাজ ভবনের সামনে পথ অবরোধ করে বসে৷ দীর্ঘ প্রায় দেড় ঘন্টা এই অবরোধ চলে৷ রাজভবনের সামনে হওয়ায় পরিস্থিতি যথেষ্ট জটিল আকার ধারণ করে৷ পুলিশের উধর্বতন আধিকারিকরা ছুটে আসেন এবং ছাত্রনেতাদের দাবী পূরণের আশ্বাস দেন৷ পরবর্তী সময় স্বাস্থ্য দফতরের এক যুগ্ম অধিকর্তা এসে তাদের জানান গত ১৮ তারিখ দফতরের অধিকর্তা দুই অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন৷ আগামী ২৪ তারিখের মধ্যে রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হবে বলে আশ্বাস দেওয়ায় এবং পুলিশের তরফে আজকের লাঠিচার্জের সঙ্গে যুক্ত পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া আশ্বাস পেয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়৷
প্রসঙ্গত, আনোয়ারা চৌধুরীর হত্যাকান্ডের ষড়যন্ত্রে যুক্ত বলে অভিযুক্ত জিবি হাসপাতালের দুই চিকিৎসক শ্যামসুন্দর সাহা এবং কিষাণ রাউতের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং গ্রেপ্তারের দাবীতে বৃহস্পতিবার অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ স্বাস্থ্য অধিকর্তা কার্যালয় ঘেরাও করে৷ পরে পুলিশ আন্দোলনকারীদের উপর লার্ঠি চালায় এবং ঘেরাও মুক্ত করে৷ এদিকে যুব কংগ্রেস ও এন এস ইউ আইয়ের যৌথ উদ্যোগে একেই দাবীতে জিবি হাসপাতাল অভিযান সংগঠিত করা হয়৷ কংগ্রেসের এই দুই সংগঠনের তরফে জিবি হাসপাতালে সুপারের কাছে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তদন্ত ক্রমে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানানো হয়েছে৷ অন্যদিকে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার তরফে আনোয়ারা চৌধুরীর হত্যাকান্ডের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেককে গ্রেফতার এবং দোষী চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীতে রাজধানী আগরতলায় এক বিক্ষোভ মিছিল সংগঠিত করা হয়৷