আনোয়ারা চৌধুরী হত্যাকান্ডে এবার বিপদের খাড়া চিকিৎসকদের উপর

আগরতলা, ১৮ মে(হিঃস)৷৷ আনোয়ারা চৌধুরি হত্যাকান্ডে এবার তাঁর মৃত্যুর সময় চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্য কর্মীর গ্রেফতারের সম্ভাবনা প্রকট হয়ে উঠেছে৷ শরীরে বিষক্রিয়া সত্যেও সঠিক চিকিৎসা না করা এবং মৃত্যুর কারণ হিসাবে ভুল তথ্য দেওয়ার পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে৷ আনোয়ারার সহপাঠীরা ইতিমধ্যেই এই দাবীতে মাঠে নেমেছেন৷ পুলিশও জিবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে চিকিৎসার গাফিলতির বিষয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে৷ গাফিলতির বিষয়টি অস্বীকার করতে পারছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও৷ জিবি হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার ডাক্তার সুব্রত বৈদ্য জানিয়েছেন, আনোয়ারা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তাঁর রক্তের কিছু পরীক্ষা করা হয়েছিল৷ তবে এই সমস্ত পরীক্ষায় রক্তে বিষের প্রমাণ পাওয়ার কথা নয়৷ তিনি বলেন, বর্তমানে রাজ্যের কোন হাসপাতলে এ ধরনের পরীক্ষা করার ব্যবস্থা নেই৷ অর্থাৎ তার কথায় পরিষ্কার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দুর্বলতার কারণে এটা সম্ভব হচ্ছে না৷ তিনি একটা স্বীকার করেন কাগজে কলমে চিকিৎসা বিজ্ঞানে অনেক কিছুর কথা বলা বাস্তবে রাজ্যে তা সম্ভব হয় না প্রযুক্তির অভাবে৷ এক প্রশ্ণের উত্তরের তিনি জানান, সনোগ্রাফির ডাক্তার এবং অন্যান্য কর্মীদের ২৪ ঘন্টা পর্যায়ক্রমে হাসপাতালে থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে ছুটির দিনে কিংবা নিয়মিত অফিসের সময়ের বাইরে তারা কেউ হাসপাতালে থাকেন না৷ তারা থাকেন অন কলে৷ জরুরি প্রয়োজনে হাসপাতাল থেকে গাড়ি পাঠিয়ে তাদের আনার ব্যবস্থা করা হয়৷ এটা যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং স্বাস্থ্য দফতরের একটা দুর্বলতা তাও তিনি অকপটে স্বীকার করেন৷ পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, যে কোন রোগীর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা না থাকলে কোন ডাক্তারের তার নিজস্ব নিরাপত্তার কারণেও ময়না তদন্ত করিয়ে নেওয়া উচিত৷ তবে আনোয়ারার মৃত্যুর পর পরিবারের আত্মীয় পরিজন বিশেষ করে মামা-মামীর পক্ষ থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উপর চার থাকায় তার মৃতদেহ ময়না তদন্ত না করে হস্তান্তর করা হয়৷ যে বিষয়টি চূড়ান্ত গাফিলতি বলে তিনি স্বীকার করেন৷ তাছাড়াও তিনি বলেন, আনোয়ারার চিকিৎসার গাফিলতির বিষয়ে জিবি হাসপাতালেরও ৩ সদস্যক এক চিৎিসক দল বিভাগীয় তদন্ত করে দিন কয়েক পুর্বে রিপোর্ট জমা দিয়েছে৷ যা তিনি দফতরের উধর্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন৷ তবে তদন্ত রিপোর্টে কি আছে এবিষয়ে তিনি কোন কিছু জানাতে অস্বীকার করেন৷ বিভাগীয় তদন্তের  বিষয়ে স্বাস্থ্য দফতরের অধিকর্তা জয়ন্ত কুমার দেববর্মার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, একটি প্রাথমিক তদন্ত৷ এবিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দলকে দিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তকরার জন্য তিনি রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন৷