নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ১৬ মে৷৷ গত ৮ মে গৃহবধু হামিনা বেগমকে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলানোর সম্পূণ্য দৃশ্য কন্যা জন্নাত সুলতানা প্রত্যক্ষ করেছেন৷ হাসিনার কন্যা জন্নাত তার নিজের চোখের সামনে হত্যার কাহিনী পুলিশের কাছে ব্যাক্ত করেছে৷ প্রথমে হাসিনার মাথায় লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে আঘাত করে অজ্ঞান অবস্থায় তার গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে তিরের সঙ্গে ঝুলানো ঘটনা জন্নাতের মনে আঘাত এনেছে৷ নৃশংস ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আট বছরে শিশু কন্যা জন্নাত৷ মায়ের দোষীদের শাস্তির দাবীতে থানায় গিয়ে এমনই অভিযোগ ব্যক্ত করেছে শিশুটি৷ যেদিন হাসিনাকে খুন করা হয়েছিল পরের দিন আমতলী থানায় চারজনের নামে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতার বাপের বাড়ীর লোকজন৷ শ্বশুর আবুল, বাবা বাবুল মিঞা, দাদু আবুল বাসার, দিদি আয়সা বেগম এবং কাকা, শাহ আলম৷
প্রসঙ্গত, ১০ বছর পূর্বে আমতলী থানার অধীন মতিনগরের ফুলতলী এলাকায় আবুল বাসারের ছেলে বাবুল মিঞার সঙ্গে ধর্মীয় বিধি মেনে বিশালগড়স্থিত নোয়াপাড়ার নানু মিঞার মেয়ে হাসিনা বেগমের বিয়ে হয়েছিল৷ বছর দুয়েক সুখ স্বাচ্ছন্দে জীবন যাপন করলেও তারপর থেকেই হাসিনার জীবনে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার৷ মৃতার স্বামী বাবুল মিঞা পরকিয়া প্রেমের জালে জড়িয়ে পড়ে৷ স্ত্রী হাসিনা সব ঘটনা জানতে পেরে প্রতিবাদ করাই হয়তো আজ পৃথিবী থেকে চিরতরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এমনই অভিযোগ মৃতার বাপের বাড়ির লোকজনের৷ তাছাড়া মৃতা হাসিনার কন্যা জান্নাত সুলতানা জানায় দিদি আয়েসা প্রতিনিয়ত অত্যাচার ও জ্বালাতন করতো তার উপর৷ দিনে একবার খাবার দিত এবং মৃত্যুর কিছুদিন পূর্বেই বাথরুমের ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে নির্যাতন করে তালা দিয়ে রাখত৷
অন্যদিকে মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন আমতলী থানায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে৷ কেন পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করছে না তা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে৷