শ্রীনগর, ৭ মে (হি.স.) : জম্মু ও কাশ্মীরে কুলগামে জঙ্গিদের সঙ্গে পুলিশের গুলির লড়াই । শনিবার রাতে অনন্তনাগ জেলায় হামলা চালিয়েছে তারা। দুই পুলিশকর্মী–সহ মোট চারজনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন তিন পুলিশ কর্মী। পুলিশের পাল্টা গুলিতে এক জঙ্গি খতম হয়েছে । জখম অবস্থায় ধরা পড়েছে একজঙ্গি। পালাতে সক্ষম একজঙ্গির খোঁজে চল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, গতকাল অনন্তনাগের মীরবাজার এলাকায় পুলিশের কনভয়ের উপর আচমকাই হামলা চালায় জঙ্গিরা। তাদের গুলি চালানোর আগেই কনস্টেবল মেহমুদ আহমেদ শেখ জীবনের পরোয়া না করেই একজন জঙ্গির থেকে পিস্তল কেড়ে নেন। বাকি পুলিশ কর্মীরা জঙ্গিদের উপর গুলি চালায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাতে মীরবাজার এলাকায় একটি পথ দুর্ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাস্তায় নামে রাজ্য পুলিশের একটি দল। যানজট কাটাতে উদ্যোগ নেয় তারা। সেই সময় মীরবাজার এলাকা দিয়ে একটি গাড়িতে চড়ে যাচ্ছিল জঙ্গিরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তে শুরু করে তারা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক পুলিশকর্মীর। প্রাণ হারান দুই স্থানীয় বাসিন্দাও। জখম হন আরও চার পুলিশকর্মী। পুলিশের পাল্টা গুলিতে ফৈয়জ আহমেদ আশওয়ার ওরফে সেঠা নামে এক লস্কর জঙ্গির নিকেশ হয়েছে । আহত অবস্থায় অপরজনকে পাকড়াও করা গিয়েছে।
রাজ্য পুলিশের ডিজি এসপি বৈদ্য জানিয়েছেন, ‘ শনিবারের হামলায় দুই পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন দুইস্থানীয় বাসিন্দাও। গাড়িতে তিন জঙ্গি ছিল। তাদের মধ্যে একজনকে নিকেশ করা গিয়েছে। জখম অবস্থায় ধরা গিয়েছে আর একজনকে। তার কাছ থেকে একটি পিস্তল মিলেছে। তবে পালাতে সক্ষম হয়েছে তৃতীয়জন। তার খোঁজ চলছে।’ হামলার পর অনন্তনাগের সর্বত্র পুলিশ মোতায়েন হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মৃত জঙ্গি ফৈয়জ আহমেদ ২০১৫ সালের আগস্টে উধমপুর বিএসএফের কনভয়ের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত ছিলেন বলে দাবি পুলিশের । ঘটনার পর থেকেই ফেরার ছিল ফৈয়জ। তাঁর মাথার দাম দু’লক্ষ টাকা ঘোষণা করেছিল সরকার। উধমপুর নাশকতায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ-র দেওয়া চার্জশিটে তাঁর নাম ছিল।