BRAKING NEWS

বিলকিস বানু গণধর্ষণের মামলায় ট্রায়াল কোর্টের রায় বহাল রাখল বম্বে হাইকোর্ট

মুম্বাই, ৪ মে (হি.স.) : গুজরাতে গোধরা পরবর্তী হিংসায় বিলকিস বানু গণধর্ষণের মামলায় ট্রায়াল কোর্টের রায় বহাল রাখল বম্বে হাইকোর্ট| বিলকিস বানু গণধর্ষণ মামলায় ১২ জনের দোষী সাব্যস্ত হওয়া ও যাবজ্জীবন কারাবাসের রায় বহাল রাখেলন বম্বে হাইকোর্টর বিচারপতি ভি কে তাহিলরামানি ও বিচারপতি মৃদুলা ভাটকরের ডিভিশন বেঞ্চ | যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা কমানোর জন্য অভিযুক্তরা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিল | এদিকে সিবিআই সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে তিন জনের বিরুদ্ধে মৃতু্যদন্ডের আবেদন জানায়|  বৃহস্পতিবার এই আবেদন খারিজ করে বেঞ্চ বলে, ১১ জন (এক দোষী মারা গিয়েছে) দোষীর বিরুদ্বেূ আগের রায় বহাল রাখা হল| পাশাপাশি সাতজনের মামলা থেকে রেহাই পেয়ে যাওয়ার রায়ও খারিজ করে দিয়েছে আদালত|

সিবিআই যশওয়ান্ত নাই, গোবিন্দ নাই ও শৈলেশ ভাটের মৃতু্যদণ্ডের আবেদন করেছিল হাইকোর্টে| এই তিনজনই পাঁচমাসের গর্ভবতী বিলকিস সহ তাঁর মা ও বোনকে গণধর্ষণ করে| শৈলেশ বিলকিসের তিনবছরের শিশুকে তাঁর কাছ থেকে ছিনিয়ে শিশুটির মাথা পাথর দিয়ে থেঁতলে তাকে হত্যা করে| শিশুটি ঘটনাস্থলেই মারা যায়| এদিন সিবিআই কোর্টকে জানায়, বিলকিস বানুর এই ঘটনা বিরল থেকে বিরলতম| ১১ জন অভিযুক্তের মধ্যে তিনজনের মৃতুদণ্ড অবশ্যই হওয়া দরকার, তবেই মানুষের কাছে কড়া বার্তা পৌঁছাবে|

সিবিআইয়ের এই আবেদনকে নাকচ করে ট্রায়াল কোর্টের নির্দেশকেই বহাল রাখে বম্বে হাইকোর্ট| সেই সঙ্গে হাইকোর্টও ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন| সিবিআই এই মামলায় পাঁচজন গুজরাট পুলিশ সহ যারা অভিযুক্তদের আড়াল করতে ভুয়ো তথ্য ও ময়নাতদন্তের রির্পোটে গরমিল করেছিল তাদের শাস্তির দাবি জানিয়ে আবেদন করে| হাইকোর্টে সিবিআইয়ের এই আবেদনটি গ্রহণ করা হয়েছে|

প্রসঙ্গত, গুজরাতে গোধরা পরবর্তী হিংসার সময় ২০০২ এর ৩ মার্চ আমদাবাদের রানধিকাপুর গ্রামে উন্মত্ত জনতা হামলা চালায় বিলকিসের পরিবারের ওপর| পাঁচ মাসের গর্ভবতী বিলকিসকে গণধর্ষণ করা হয়| প্রাণ হারান তাঁর পরিবারের সাতজন| পরিবারের বাকি ছয়জন কোনওক্রমে পালিয়ে যান| মধ্য গুজরাটের বাসিন্দা বিলকিস তাঁরা স্বামীর সঙ্গে থাকতেন| তিনি ধর্ষণকারিদের সনাক্ত করেন|

আমদাবাদে মামলার বিচার শুরু হলেও বিলকিস বানু মামলার শুনানি গুজরাট থেকে স্থানান্তরিত করা হয়| কারণ সাক্ষীদের ভয়প্রর্দশন ও প্রভাবিত করার সম্ভাবনা ছিল| বিলকিসের আশঙ্কা ছিল, সাক্ষীদের ভয় দেখানো হতে পারে, সিবিআইয়ের সংগৃহীত নথিপত্র নষ্ট করে ফেলা হতে পারে| সেজন্য ২০০৪-এ মুম্বইয়ে মামলা স্থানান্তরিত করে সুপ্রিম কোর্ট| ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে বিলকিস বানু মামলা শুনানি শুরু হয়| ১২ জন অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়|

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *