অসমাপ্ত রাস্তার কাজ, বিভিন্ন স্থানে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত, দুর্ভোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি, খোয়াই/কমলাসাগর, ২০ এপ্রিল৷৷ দক্ষিণ সিঙ্গিছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১নং ওয়ার্ড এলাকার রাস্তার বেহাল

দক্ষিণ সিঙ্গিছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১নং ওয়ার্ড এলাকার রাস্তার বেহাল দশা৷ ছবি নিজস্ব৷

দশা৷ ১নং ওয়ার্ডে যাতায়াতের জন্য রাস্তা ছিল দুটি৷ কিন্তু সিঙ্গিছড়া প্যাক্সের বাজার হয়ে যে রাস্তাটি ছিল সেটি ব্রীজ ভেঙে যাওয়ার কারণে বন্ধ হয়ে পড়ে৷ বিকল্প রাস্তাটিও দূর্বিসহ অবস্থাটি এই রাস্তাটি প্যাক্সের বাজার হয়ে আচার্য্য পাড়া পর্যন্ত৷ কিন্তু একমাত্র বিকল্প রাস্তাটি বৃষ্টি হলেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে৷ সুকল পড়ুয়া সহ গোটা এলাকার লোকজনকে যাতায়াতের ক্ষেত্রে দূর্বিসহ যন্ত্রণা সহ্য করতে হচ্ছে৷ বিভিন্ন সময়ে এই রাস্তাটির সংস্কারের দাবি জানানো হয়েছে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি৷ শেষে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ সিঙ্গিছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে ডেপুটেশন প্রদান করল ১ নং ওয়ার্ড এলাকার জনসাধারন৷ মোট ৩৮ জনের স্বাক্ষর সম্বলিত ডেপুটেশনের প্রতিলিপিত তুলে দেওয়া হয়৷ কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় হলো পঞ্চায়েত থেকে ১নং ওয়ার্ডের জনসাধারণকে জানানো হয়, ইট দিয়ে দেওয়া হবে, নিজেরা কাজ করিয়ে নিন৷ এমন প্রত্যুত্তর পেয়ে জনসাধারণ আশাহত হয়ে সেখান থেকে ফিরে আসেন৷ প্রশ্ণ তুললেন, কখনোও কি এমনটা হয়েছে? এ কেমন সিদ্ধান্ত?
এদিকে, গকুলনগর ভূইয়ার মাথা এলাকায় বুধবার রাত্র থেকে শুরু হয়৷ জাতীয় সড়কে যান চলাচলের অসুবিধা৷ এখনো জাতীয় সড়কের কাজ শেষ না হওয়াতে বুধবার রাতে বৃষ্টির ফলে রাস্তাটি দিয়ে যান চলাচলে সমস্যায় পড়তে হয়েছে৷ নতুন করে মাটি ভরাট করা ফলে ঝড় বৃষ্টির কারনে ভরাট করা মাটি ভেঙ্গে গিয়ে খাদের সৃষ্টি হয়৷ ফলে নতুন মাটি ভরাট করা জায়গাতে গাড়িগুলি আটকে পড়ে৷ ফলে জাতীয় সড়কের দুই পাশে লাইন পড়ে যায়৷ দীর্ঘ দুই ঘন্টা যানজটের ফলে যাত্রীদের ভীষড় সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়েছে৷ এই রকম পরিস্থিতিতে অ্যাম্বোলেন্স এর যাতায়েত অসুবিধা পরতে হয়৷ ফলে রোগিদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সমস্যা সৃষ্টি হয়ে পরে৷ গাড়ি ভেতরে বসে থাকা যাত্রীরা বিরক্তি বোধ হয়৷ সবমিলে একটা ভীষণ সমস্যার মধ্যে পরতে হয়েছে যাত্রীদের৷ কিছু কিছু যাত্রীরা পায়ে হেঁটে দুই থেকে তিন কিলোমিটার পথ চলে যেতে হয়েছে৷ এই সমস্যাকে অনুকূলে আনার জন্য বিশালগড় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে৷ দীর্ঘ সময়ের পর সমস্যাটি অনূকুলে আসে৷