BRAKING NEWS

মানবিকতার অবক্ষয়ের চিত্র, একই দিনে তেলিয়ামুড়া কল্যাণপুরে দুইটি সদ্যোজাত শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ১৩ এপ্রিল৷৷ মা আমায় মেরো না, আমি বাঁচতে চাই, সকলের মত পৃথিবীর আলো বাতাস ও জীবন খেলায় মেতে উঠতে চাই, মা আমায় মেরো না৷ জাতীয় সড়কের উপর ডান কাত হয়ে মৃত্যুর কোলে গিয়ে ও যেন এমনটাই সমাজের কাছে বার্তা দিতে চাইল এই সদ্যোজাত সন্তানটি৷
অত্যাধুনিক মডেল সমাজে মানুষ যে কত নিষ্ঠুর তা আবারও প্রমান হয়ে গেল৷ তা হয়তো বা সমাজে নিজেকে কলঙ্কমুক্ত রাখতে নয়তো বা নিজেদের দারিদ্রতা থেকে, নয়তো বা কয়েক মূর্হতের আনন্দের ফসলকে সমাজে না আনতেই এই শিশুটিকে পৃথিবীর আলো বাতাস থেকে বঞ্চিত করলো একটি মা৷ যেখানে মা শব্দের অর্থতো অনেক মা জননী, মা জন্মভূমি, মা জন্মধাত্রী৷ মা ছাড়াতো পৃথিবীতে আসাই অসম্ভব৷ তবে যে একটা মা এই ভাবে জাতীয় সড়কে তার সদ্যোজাত শিশুকে তার দু-চুখো ফুটে পৃথিবীর আলো বাতাস থেকে বঞ্চিত করে সেটা কি ভাবা যায়৷ হয়তো বা তার পেছনে লুকায়িত আছে অনেক অজানা রহস্য৷ যা সমাজের কাছে রহস্যজনকই থেকে যাবে৷ শিশুটিকে নিয়ে লেখার কিছু নেই, কারন যে নাম গোত্রহীন৷ তার পরিচয় পাওয়াও সম্ভবপর হবে না৷
ঘটনার বিবরেেণ জানা যায়, নেতাজীনগর এলাকার জাতীয় সড়কে সাত সকালে একটি চার/পাঁচ মাসের ভ্রুণ দেখে ভীর জমে যায় রাস্তার পাশে৷ তবে রাস্তার ধরে বাড়ী ফেরার পথে ভ্রুনটিকে যে ফেলে দেওয়া হয়েছে তার যথেষ্ট প্রমান সাপেক্ষ৷ সেখানে সাত সকালে অনেক পথচারী থাকলেও ভ্রুণটিকে একটু কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়ার মত কেউ ছিলনা৷ ছিলনা পুলিশ প্রশাসনের নজরে ঘটনাটি আনতে৷ তাই কয়েকবার ফোন করা হল তেলিয়ামুড়া থানা ল্যান্ড ফোনে৷ যেখান থেকে কোন উত্তর না আশায় ব্যক্তিগত মোবাইলেও ফোন করা হয় পুলিশ অফিসারে৷ সেখানেও উত্তর না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে স্বশরীরে হাজির হয়ে ঘটনা জানালে পুলিশ এসে মৃত শিশুটিকে উদ্ধার করে তেলিয়ামুড়া গ্রামীণ হাসপাতালের কাছে স্থানান্তর করে৷
এটি ছিল আজকের সভ্য সমাজের কাহিনী৷ তবে একটা প্রশ্ণ থেকেই যাচ্ছে একটি মা তো একটি সন্তানকে ১০ মাস ১০ দিন গর্ভে ধারণ করে তার পরই অতি কষ্টে প্রসব বেদনা সহ্য করে অথবা অত্যাধুনিক সিজারিয়ানের পরই একটি পরিপূর্ণ সন্তান জন্ম দেন৷ তবে এই গর্ভজাত চার/পাঁচ মাসের সন্তানের জন্ম হল কি ভাবে-সেটাই প্রশ্ণ? উত্তর চাইছে শুভ বুদ্ধি মহল? আশঙ্কা করা হচ্ছে কোন অবৈধ সম্পর্কের জেরেই এই সন্তানের সৃষ্টি৷ পরে তাকে গর্ভেই হত্যা করে এভাবে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়েছে৷
এদিকে, কল্যাণপুর থানা এলাকার পশ্চিম ঘিলাতলী গাওসভার মণিপুরী কলোনি গ্রামে ঘিলাতলী দাওছড়া সড়কের মধ্যবর্তী পাকা ব্রীজের নিচে ছড়ার জলে শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার হয়৷ সুকলে যাওয়ার সময় গ্রামের ছাত্র ছাত্রীদের নজরে পড়ে৷ খবর মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পরতেই চাঞ্চল্য গোটা গ্রামে৷ পুলিশ তদন্তে তদন্ত শুরু করেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *