BRAKING NEWS

তুফানে উত্তর ও ধলাই জেলায় বহু গ্রাম লন্ডভন্ড, ঘরবাড়ি তছনছ, ভূপাতিত গাছ পালা, বিদ্যুৎ পরিষেবা বিপর্য্যস্ত

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা/ চুরাইবাড়ি, ৩ এপ্রিল৷৷ প্রবল ঝড়ে উত্তর জেলা ও ধলাই জেলাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ প্রচুর

উত্তর জেলার চুড়াইবাড়ি সহ আশেপাশের এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ে বহু বাড়ি ঘরে ছাউনি উড়ে গিয়েছে৷ সোমবার তোলা নিজস্ব ছবি৷

ঘরবাড়ি উত্তর জেলায় তছনছ হয়ে গিয়েছে৷ ধলাই জেলাতেও ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ এরই পাশাপাশি বিদ্যুৎ পরিষেবা বিপর্য্যস্ত হয়ে পড়েছে৷ আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, আগামী চবিবশ ঘন্টা সারা রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ তবে, ঝড়ের তেমন কোন সম্ভাবনা নেই বলে আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে৷
উত্তর জেলার চুরাইবাড়ি অঞ্চলে প্রবল ঘূর্ণীঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে৷ গতকালের দুপুর বেলা ও আজ সকালের প্রবল শিলাবৃষ্টির ও ঘূর্ণীঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি চুরাইবাড়ি এলাকায় ১০ টিরও অধিক গ্রাম৷ বিশেষ করে কূর্তী, বাঘন, কদমতলা, প্রেমতলা, উঃফুলবাড়ি, দঃফুলবাড়ি, লক্ষীনগর, রাণীবাড়ি, পিয়ারিছড়া, তারকপুর ছাড়াও আরও বহু গ্রাম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ প্রকৃতির তান্ডবলীলায় মানুষের ঘর বাড়ি লন্ড ভন্ড হয়ে যায়৷ এক কথায় প্রকৃতি রুষ্ঠ হয়ে আছে ঐ সকল এলাকার মানুষের উপর৷ প্রবল শিলাবৃষ্টির ফলে মানুষের ঘরের টিন সম্মূর্ণ রূপে নষ্ট হয়ে পড়েছে৷ প্রবল ঘূর্ণীঝড় ঘর বাড়ির চাল উড়িয়ে নিয়ে যায়৷ ঘরের সমস্ত কিছুম তছনছ হয়ে যায়৷ রাস্তাব উপড়ে পড়ছে বড় বড় গাছ৷ ফলে যান চলাচলের বিঘ্ন ঘটছে৷ তাই মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা ব্যহত হচ্ছে৷ পাশাপাশি বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যহত হয়ে পড়েছে৷ তবে এখন পর্যন্ত কোন প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি৷
এদিকে স্থানীয় জনগনের বক্তব্য বিগত ৫০ বছরের ভেতর এমন ঘূর্ণীঝড় আর শিলা বৃষ্টি হয়নি৷ তাই আতঙ্কের মধ্যে দিন রাত কাটাচ্ছেন ঐ সব এলাকার জনগণ৷ তবে জনগণের দাবী এখন পর্যন্ত স্থানীয় বিধায়ক ও জেলা প্রশাসন তাদের কোন খোঁজ খবর নিতে আসেননি৷ জনগন আরও জানান যে কোন মূহূর্তে প্রকৃতি বড় ধরনের তান্ডব শিলা চালাতে পারে৷ অপরদিকে বরুন দেবেরও কূ-দৃষ্টি পড়েছে চুরাইবাড়ির ঐ সকল এলাকায়৷ প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে যে কোন মুহুর্তে জলমগ্ণ হয়ে প্লাবিত হতে পারে চুরাইবাড়ির কয়েকটি গ্রাম৷
এদিকে, এদিন বেলা পৌণে চারটা নাগাদ ধলাই জেলায় প্রচন্ড ঝড় ও তার সাথে বৃষ্টিপাতে ভীষণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ ধলাই জেলার কমলপুর, সালেমা, দুর্গাচৌমুহনী এবং আমবাসায় ভারী বৃষ্টিপাতে জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে৷ ঝড়ে বেশ কিছু এলাকায় বাড়ি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ বিদ্যুৎ পরিবাহী লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ বিদ্যুৎ মন্ত্রী মানিক দে জানিয়েছেন, পূর্ব কাঞ্চনবাড়ি থেকে যে বিদ্যুৎ পরিবহি তারটি ধলাই জেলার উপর দিয়ে গিয়েছে, তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে জানা সম্ভব হয়নি৷ তবে বেশ কিছু এলাকা বিদ্যুৎ পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে৷ এদিন তিনি আরও জানিয়েছেন গত ২৯ মার্চ ঝড়ে হেজামারা, মোহনপুর, বামুটিয়া এবং লেফুঙ্গাতে ৯৩টি বিদ্যুতের খঁুটি ভেঙ্গে গিয়েছে৷ ৪৬টি পুল কাঁত হয়ে গিয়েছে৷ ১৯ কিলোমিটার তার ছিড়ে গিয়েছে৷ এদিকে, গত ২ ও ৩ এপ্রিল ধর্মনগর, কদমতলা এবং যুবরাজনগর এলাকায় চবিবশটি খঁুটি, সাড়ে তিন কিলোমিটার বিদ্যুতের তার এবং সাতটি ট্রান্সফরমার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ ঐসব এলাকাতে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য নিগমের কর্মীরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে মন্ত্রী মানিক দে জানিয়েছেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *