গুয়াহাটি, ০৩ এপ্রিল, (হি.স.) : বিরামহীন মুষলধারে শিলাবৃষ্টি সঙ্গে বজ্রপাতে নাকাল হয়ে পড়েছে অসম। অকাল বিপর্যয়ের প্রভাব বেশি পড়েছে বরাক উপত্যকার কাছাড়, করিমগঞ্জ, হাইলাকান্দি এবং ডিমা হাসাও নলবাড়ি, বাকসা-সহ অন্য আরও কয়েকটি জেলা। ফলে এই সব অঞ্চলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও ব্যাপক। গতকাল রবিবার সাতসকালের শিলাবৃষ্টির সঙ্গে তীব্রবেগী তুফানে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে করিমগঞ্জের পাথারকান্দি ও হাইলাকান্দির লালা রাজস্ব সার্কল এলাকা। বাড়ছে বরাক, ধলেশ্বরী, কাটাখাল, সিংলা, লঙ্গাই ইত্যাদি নদীর জল। কোথাও কোথাও ওই সব নদীর জল বিপদসীমার ওফর দিয়েও বইছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে।
কালবৈশাখীর আগাম ঝাপটায় বরাক উপত্যকার জীবনযাত্রা এমনিতেই গত চার-পাঁচদিন ধরে বিপর্যস্ত। কাছাড়-করিমগঞ্জ-হাইলাকান্দি জেলার মোট প্রায় ১২ হাজার হেক্টর কৃষিজমির বোরো ধানের ক্ষতি হয়েছে। এতে বহু কোটি টাকা লোকসান হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাছাড়া, বরাক উপত্যকার সদর শিলচর শহরে সৃষ্ট কৃত্রিম বন্যায়ও নাগরিককুল বিধ্বস্ত।
ধ্বংসাত্মক ঝড়ঝঞ্ঝার কবলে পড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বকো, পশ্চিম নলবাড়ি, চিরাং এবং টংলায়। রবিবার সকাল ও রাতের প্রলয়ঙ্করি ঝড়ে ওই অঞ্চলের অসংখ্য বিদ্যুৎ পরিবাহী খুঁটি উপরে পড়েছে। ছিঁড়ে পড়েছে বিদ্যুৎ পরিবাহী তার। ফলে বহু অঞ্চল বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রাস্তায় গাছগাছালি পড়ে ব্যাহত হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থাও।
বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রাপ্ত প্রাথমিক খবরে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত কমপক্ষে দু থেকে আড়াইশো বাড়িঘরের ক্ষতি হয়েছে।