রাজ্যে ভূমিকম্পের বিপজ্জনক দিক তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে স্মারক বিভিন্ন বিজ্ঞান ও সামাজিক সংগঠনের যৌথভাবে

ORGANISATIONনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ জানুয়ারি৷৷ রাজ্যে সম্প্রতি সংগঠিত ভূমিকম্পের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের ৫টি অগ্রণী বিজ্ঞান ও সামাজিক সংগঠন যথা অর্পণ ত্রিপুরা যুক্তিবাদ বিকাশ মঞ্চ, মানব সেবা পরিষদ, কল ফর নিড ও আগরতলা সাইকেল ক্লাব, সংশ্লিষ্ট কয়েকটি দাবিকে সামনে রেখে মুখ্যমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি প্রেরণ সহ মুখ্যসচিবের সঙ্গে এক ডেপুটেশনে মিলিত হয়৷ সংগঠনগুলির আট সদস্য মুখ্যসচিবকে ডেপুটেশান প্রদানকালে ত্রিপুরা সহ উত্তরপূর্ব ভারতের ভূমিকম্পের প্রেক্ষিতে বিপজ্জনক দিকটি সবিস্তারে বিজ্ঞানসম্মত তথ্যের নিরিখে তুলে ধরেন৷ রিববার আগরতলায় এক সংবাদিক সম্মেলনে সংস্থাগুলির কর্মকর্তারা এই সংবাদ জানান৷
সাংবাদিক সম্মেলনে কর্মকর্তারা আরও জানান, মুখ্য সচিবের সাথে ডেপুটেশন কালে প্রতিনিধি দল উল্লেখ করেন ত্রিপুরা সহ উত্তরপূর্বাঞ্চল যে শুধু তিনটি টেকনিক প্লেটের সন্ধিস্থলের সন্নিহিত অঞ্চলে অবস্থিত তাই নয়, এই অঞ্চল বিশ্বের সর্বোচচ ছয়টি ভূমিকম্পের নিরিখে সক্রিয় অঞ্চলের একটি৷ ভূবিজ্ঞানীদের মতে এই অঞ্চলে উচ্চ মাত্রার ভূমিকম্পের সম্ভাবনা দীর্ঘদিন ধরেই অনুমান করা হচ্ছে৷ সর্বোপরি ৩রা জানুয়ারি সংগঠিত ভূমিকম্প ত্রিপুরা রাজ্যের অভ্যন্তরেই চ্যুতিরেখার সন্দেহাতীত অবস্থান দেখিয়ে দিয়েছে৷ আধুনিক বিজ্ঞান প্রয়োগে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি প্রতিরোধ সক্ষম৷ কিন্তু এ রাজ্য সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলে সরকার এবিষয়ে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না৷ তাই সংগঠনগুলি ত্রিপুরা রাজ্যের জনসাধারণের জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তার স্বার্থে এবং এবিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও বিপর্যয় মোকাবেলার প্রশ্ণে যেসমস্ত দাবী মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিবের নিকট উত্থাপন করেছে সেগুলি হচ্ছে, অবিলম্বে রাজ্যের বিদ্যমান সরকারি অফিস, সুকলবাড়ি , সেতু, সড়ক সহ পরিকাঠামোগুলিকে ভূমিকম্প প্রতিরোধী করে গড়ে তোলা এবং সকল নতুন নির্মাণের ক্ষেত্রে ভূমিকম্প প্রতিরোধক ব্যবস্থা গ্রহণ করা৷
তাছাড়াও দাবী রয়েছে সরকারি বেনিফিসিয়ারি স্কীমে প্রদত্ত বাড়িগুলির ক্ষেত্রে ভূমিকম্পের প্রতিরোধী স্থাপত্য বিজ্ঞান প্রয়োগ করা৷ রাজ্যের সাধারণ মানুষের আর্থিক অবস্থা নজরে রেখে ভূমিকম্প প্রতিরোধক স্থাপত্য নির্মাণে সরকারি সহায়তা দেওয়া৷ রাজ্যের অভ্যন্তরে চ্যুতিতল গুলি আবিষ্কারের জন্য উপযুক্ত সংস্থা দ্বারা গবেষণা প্রকল্প চালু করা৷ রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে জিওলজি, জিওফিজিক্স, আর্থকোয়েক ও সিসমিক ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু করা৷
দাবী জানানো হয়েছে নগর পরিকল্পনার ক্ষেত্রে ভূমিকম্প প্রতিরোধের স্থাপত্য বিজ্ঞানকে প্রয়োগে নেওয়া৷ বিপর্যয় মোকাবিলার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা৷ মুখ্যসচিব দাবিগুলির যৌক্তিকতা স্বীকার করে দ্রুত রূপায়ণের প্রতিশ্রুতি দেন বলে এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন৷