মুম্বই, ১২ জানুয়ারি (হি.স.) : মাঝ আকাশে বিমানের মধ্যের অসুস্থ গৃহবধূ| পরে মৃতু্যর কোলে ঢলে পরলে বিমানকর্মীদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলে মৃতার পরিবার| ৱুধবার মুম্বই-বারাণসী রুটের একটি বেসরকারি সংস্থার বিমান এই ঘটনা ঘটে| মৃতার স্বামীর অভিযোগ, হঠাত্ তাঁর স্ত্রী অসুস্থ বোধ করেন| তাঁর শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়| এসময় বিমানকর্মীদের জানিয়েও কোনও সাহায্য পাওয়া যায় নি| এমনকি তাঁকে মাস্কˆও দেওয়া হয়দিন বলে অভিযোগ| যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ বিমান কর্তৃপক্ষ| তাদের তরফে জানানো হয়েছে, সবধরনের চিকিসা পরিষেবা দেওয়া হয়েছে| উড়ান সফরে থাকাকালীন একজন চিকিত্সক পরীক্ষা করেন তাঁকে| জানা গেছে, সংগীতা নামে ওই যুবতির স্বামী রাজেশ মুম্বইয়ের একটি গ্লাস ম্যানুফ্যাকচারিং সংস্থায় কর্মরত| তাঁদের বাড়ি বারাণসীর শিবপুর এলাকায়| গতকাল বিমানে মুম্বই থেকে পরিবারের সঙ্গে বারাণসীর বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি| গতকাল স্বামী ও তাঁদের কন্যা সন্তানকে নিয়ে বিমানে বাড়ি ফিরছিলেন| বিমান মাঝ আকাশে থাকতেই হঠাত্ অসুস্থ বোধ করেন তিনি | তাঁর শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়| পরে মৃতু্য হয় ওই যুবতির| তাঁর স্বামীর অভিযোগ, মাঝ আকাশে সংগীতা অসুস্থ বোধ করেন| দ্রুত তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে| বিমান সেবিকাদের জানানো হয় বিষয়টি| চাওয়া হয় মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স| কিন্তু তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেননি| এমনকী শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখেও মাস্ক দেওয়া হয়নি| তাঁদের কর্তব্যে গাফিলতির জেরেই মৃতু্য হয়েছে সংগীতার| যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ বিমান কর্তৃপক্ষ| তাদের তরফে জানানো হয়েছে, মুম্বই থেকে বারাণসীগামী এসজি৭০৪ উড়ানে সফর করছিলেন ওই যুবতি| তাঁর শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়| উড়ান সফরে থাকাকালীন একজন চিকিত্সকও পরীক্ষা করেন তাঁকে| সবধরনের চিকিত্সা পরিষেবা দেওয়া হয়েছে| এমনকী এটিসি-তে অনুরোধ করে দ্রুত তাঁর চিকিত্সার ব্যবস্থা করা হয়| বারাণসীর লাল বাহাদুর শাস্ত্রী বিমানবন্দরে বিমান নামার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে পরীক্ষা করেন এয়ারপোর্টের মেডিক্যাল অফিসার| তখনও তিনি জীবিত ছিলেন| এরপর আরও ভালো চিকিত্সা পরিষেবা দিতে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে পাঠানো হয় বারাণসীর প্রাইমারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে| সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা|
2017-01-12