বিমুদ্রাকরণ ঃ সারা রাজ্যে প্রদেশ কংগ্রেসের বিক্ষোভ, দাবি প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৫ জানুয়ারি৷৷ নোট বাতিলের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে দিল প্রদেশ কংগ্রেস৷ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার আগরতলায় আরবিআই অফিসের সামনে কংগ্রেসের বিক্ষোভ৷ ছবি নিজস্ব৷
বৃহস্পতিবার আগরতলায় আরবিআই অফিসের সামনে কংগ্রেসের বিক্ষোভ৷ ছবি নিজস্ব৷

অনুযায়ী বৃহস্পতিবার আগরতলায় আরবিআই ও জেলাশাসকের অফিসের সামনে এবং রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাঙ্কগুলির সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে কংগ্রেস সমর্থকরা৷ এদিন, আগরতলায় প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি সুশান্ত চক্রবর্তীর নেতৃত্বে দলীয় কর্মী সমর্থকরা আরবিআই অফিসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও সভা সংগঠিত করেন৷ তার আগে প্রদেশ কংগ্রেস মুখ্য কার্যালয় থেকে একটি মিছিল শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে৷
আরবিআই অফিসের সামনে আয়োজিত সভায় নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে প্রদেশ কংগ্রেস৷ অভিযোগ, কালো টাকা উদ্ধারের নাম করে দেশের আমজনতাকে দুর্ভোগের মুখে ঠেলে দিয়েছে বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার৷ ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলতে না পেরে জনগণ মহা সমস্যায় পড়েছেন৷ পাশাপাশি কৃষকরা ও ছোট-মাঝারি ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন৷ দেশের অর্থনীতি ক্ষতির সম্মুখীন৷ এদিন এই সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পদত্যাগের দাবি জানানো হয়৷ পাশাপাশি যতদিন প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করছেন না ততদিন আন্দোলন জারি থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়৷
এদিকে, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকারের নোট বাতিল ও ক্যাশলেস ইস্যুতে সারা দেশের সাথে বিশালগড়ে ব্লক কংগ্রেসের উদ্যোগে বিশালগড় মহকুমা শাসকের কার্যালয় ঘেরাও করা হয়৷ এই আন্দোলনে সামিল হন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী মতিলাল সাহা ও জেলা কংগ্রেস সভাপতি নিগমানন্দ গোস্বামী ও পিসিসি সদস্য নিখিল রঞ্জন চক্রবর্তী৷ এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জয়দুল হুসেন ও রতন দাস সহ অন্যান্য নেতারা৷ এই আন্দোলনে নেতারা আলোচনা করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেন কেন্দ্রীয় সরকার নোট বাতিলের ফলে ভারতবর্ষের সমস্ত রাজ্যের জনগণের হয়রানি হতে হচ্ছে৷ কালো টাকা উদ্ধারের নামে যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন কেন্দ্রীয় সরকার, কোথায় সে কালো টাকা ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানতে চাইলে কোনো রকম উত্তর দেননি৷ ক্ষমতার অপব্যবহার করা হচ্ছে৷ কেন্দ্রীয় সরকার যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তা দিয়ে ত্রিপুরার জনগণের কোন রকম সুবিধা হচ্ছে না৷ বরং ত্রিপুরা রাজ্যের জনগণ হয়রানির মুখে৷ সাধারণ মানুষেড সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ রাজ্যের গরিব শ্রেণী ও মধ্যবিত্ত পরিবাররা কি পাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে৷ রাজনীতির স্বার্থে দেশের মানুষের সাথে বেইমানি করছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ তাই বিশালগড় ব্লক কংগ্রেসের উদ্যোগে এই আন্দোলন গড়ে তোলা হয়েছে৷ যতদিন নোট বাতিলের প্রত্যাহার না করা হয়৷ আগামীদিন আরো বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস৷
এদিকে, কালো টাকার নামে সাধারণ মানুষের অর্থলুন্ঠনকারীর পদত্যাগের দাবিতে আজ কৈলাসহরেও বিক্ষোভ মিছিল ও ধর্না সংগঠিত করেছে কংগ্রেস দল৷ জেলা কংগ্রেসের উদ্যোগে আয়োজিত মিছিলে শত শত কংগ্রেস কর্মী অংশ নেন৷ সারা দেশে এআইসিসির এই কর্মসূচী পালিত হয়েছে৷
কৈলাসহর কংগ্রেস অফিস প্রাঙ্গণ থেকে মিছিল শুরু হয়৷ স্থানীয় স্টেট ব্যাঙ্ক শাখার সামনে কিছুক্ষণ ধর্না দেওয়া হয়৷ এরপর মিছিল গিয়ে থামে মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট অফিস প্রাঙ্গণে৷ সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশ পুত্তলিকা পোড়ানো হয়৷ সেখানে আয়োজিত পথ সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি বদরুজ্জমান, পিসিসির সাধারণ সম্পাদক রুন্দ্রেন্দু ভট্টাচার্য বক্তব্য রাখেন৷ কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক নোট বাতিলের ফলে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং হচ্ছেন সে সম্পর্কে নেতৃবৃন্দ বিশদ আলোচনা করেন৷ চিটফান্ড ইস্যুতে বামফ্রন্ট সরকারের সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *