কাজলগাঁও (অসম), ৩০ অক্টোবর, (হি.স.) : চিরাং জেলার সিদলি থানার চম্পানদী সংলগ্ন ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া চম্পাবাজারে একদল উগ্ৰপন্থীর সঙ্গে সশস্ত্র পুলিশের গোলাগুলিতে খতম হয়েছে এনডিএফবি (সংবিজিত)-এর এক জঙ্গি। নিহত জঙ্গির হেফাজত থেকে একটি ৭.৬৫ পিস্তল, দুটি সক্রিয় কার্তুজ, ৭৪০ রাউন্ড বুলেট-সহ একটি এ-কে ৪৭ রাইফেল, একটি মোবাইল এবং নগদ তিন হাজার টাকা। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে উগ্রপন্থীদের ব্যবহৃত একটি টাটা ম্যাজিক গাড়ি। ২০০৮ সালের অভিশপ্ত ৩০ অক্টোবরের পুনরাবৃত্তি ঘটানোই জঙ্গিদের উদ্দেশ্য ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
বিটিএডি-র অতিরিক্ত পুলিশ মহানির্দেশক ড. এলআর বিষ্ণোই কাজলগাঁওয়ের পুলিশ সুপার দফতরে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ-ব্যাপারে তথ্য দিতে গিয়ে জানান। এনডিএফবি (সং)-র শীর্ষ নেতা বি বিদাইয়ের নির্দেশে ভুটান শিবির থেকে বেরিয়ে এই অঞ্চলে ক্যাম্প গড়ে গোলাবারুদ ও খাদ্য সংগ্রহ করতে এসেছিল। চিরাং জেলার অজ্ঞাত কোনও স্থান থেকে এরা নম্বর প্ল্যাটশূন্য একটি টাটা ম্যাজিকে করে জারিক্যানে পুরে বহু পরিমাণের পিস্তল ও একে ৪৭-এর গুলি নিয়ে শনিবার রাতে কোকরাঝাড়ে যাচ্ছিল। রাত তখন প্রায় ১০.৩০ মিনিট। চম্পাবাজার এলাকায় সন্দেহের বশে ওই টাটা ম্যাজিককে গতি রোধ করতে সিগন্যাল দেন টহলদারী পুলিশবাহিনী। পুলিশের সিগন্যাল অবজ্ঞা করে সেই স্থান থেকে দ্রুতবেগে গাড়ি নিয়ে কয়েক কিলোমিটার দূরে চলে যায় তারা। সেখানে গাড়ি থেকে নেমে লাগোয়া ঝোপে আত্মগোপন করে।
এদিকে পুলিশ ওই গাড়ির পেছনে ধাওয়া করে এক জায়গায় যায়। সেখানে ঝোপের আড়াল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু করে জঙ্গিরা। প্রায় দশ থেকে কুড়ি মিনিট গোলাগুলিতে এক জঙ্গি লুটে পড়ে। ইত্যবসরে ওদিক থেকে আর কোনও সাড়াশব্দ না-পেয়ে খুব সন্তর্পনে পুলিশ সেখান থেকে গুলিবিদ্ধ এক জঙ্গিকে উদ্ধার করে। গুলিবিদ্ধ জঙ্গিকে নিয়ে হাসপাতালে ভরতি করে পুলিশ। কিন্তু আজ ভোরের দিকে সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে।
এদিকে গাড়িতে তালাশি চালিয়ে ওইসব পিস্তল, একে ৪৭ রাইফেল, গুলি, মোবাইল ফোন ইত্যাদির পাশাপাশি গাড়িটির নম্বর প্ল্যাটও উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই রিপোর্ট লেখা্ পর্যন্ত নিহত এনডিএফবি (সং) জঙ্গির পরিচয় পায়নি পুলিশ।