BRAKING NEWS

ত্রিপুরায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে পারে ঃ বিপ্লব দেব

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৬ অক্টোবর৷৷ সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য কেন্দ্র যে কোন পদক্ষেপ নেবে৷ তাতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক

বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি বিপ্লব দেব৷ নিজস্ব ছবি৷
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি বিপ্লব দেব৷ নিজস্ব ছবি৷

ত্রিপুরাতেও ঢুকতে পারে৷ ২০১৮ নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বিপ্লব দেব বুঝিয়ে দিয়েছেন অগণতান্ত্রিক কোন কিছুই বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার বরদাস্ত করবে না৷ প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসনিক ক্ষমতায় হস্তক্ষেপও করতে পারে৷ তাতে মনে হয়েছে, ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনে প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতি শাসনও লাগু হতে পারে৷ এক্ষেত্রে বিজেপি রাজ্য সভাপতি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেছেন, তামিলনাড়ুতে ১৯৯৫ সালে ডিএমকে সরকারের আমলে চরম বিশৃঙ্খলার কারণে কেন্দ্রীয় সরকার প্রশাসনিক সমস্ত ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করেছিল৷ ফলে, ১৯৯৩ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়েছিল৷ আবারও কি ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে পারে কিনা সেই প্রশ্ণের উত্তরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সরাসরি জানিয়েছেন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সমস্ত ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্রীয় সরকার৷ লক্ষ্য একটাই নির্বাচনে কোন রাজনীতিকরণ চলবে না৷ নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করাই একমাত্র লক্ষ্য৷
ফিকি আয়োজিত নর্থ ইস্ট কানেক্টিভিটি সামিটে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে এনে এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি বিপ্লব দেব আবারও সিপিএমকে দেশদ্রোহীর সাথে তুলনা করেছেন৷ তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী পাকিস্তানকে সমর্থন করে বয়ান দিয়েছেন৷ বাংলাদেশের মন্ত্রী এবং আন্তর্জাতিক মহলের সামনে মুখ্যমন্ত্রী পাকিস্তানের মত স্লোগান দিয়েছেন৷ বিজেপি রাজ্য সভাপতির স্পষ্ট কথা সিপিআইএম ভারতের সংবিধান কোনভাবেই মানে না৷ তাই সেনাবাহিনী যেভাবে পাকিস্তানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছিল, প্রয়োজনে তা ত্রিপুরাতেও ঢুকবে৷ তাঁর দাবি, ফিকির সামিটে ভারত বিরোধী মন্তব্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে শাস্তি পেতে হবে৷ আর এমনটা তিনি গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আভাস পেয়েছেন বলে এদিন জানিয়েছেন৷
সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মোড়কে আগামী ২০১৮ নির্বাচনের আগে রাজ্যে আবারও রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে পারে কিনা সে প্রশ্ণের উত্তরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি স্পষ্ট জানিয়েছেন, সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য কেন্দ্র যেকোন পদক্ষেপ নেবে৷ প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতি শাসনও জারি হতে পারে৷ তবে, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে৷ কিন্তু অগণতান্ত্রিক কোন কিছু ঘটলে তা বরদাস্ত করা হবে না৷ কারণ, নির্বাচনে কোন রাজনীতিকরণ করা যাবে না৷ তাঁর সাফ কথা, নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করাই আসল লক্ষ্য৷
২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনকে ঘিরে বিজেপি আদা জল খেয়ে নামতে চলেছে সেই ইঙ্গিতও এদিন মিলেছে৷ দলের রাজ্য সভাপতি জানিয়েছেন, নেডার কনভেনার হেমন্ত বিশ্বশর্মা ত্রিপুরায় আগামী বিধানসভা নির্বাচনের রণকৌশল নির্ধারণে চলতি মাসেই এরাজ্যে আসছেন৷ শুধু তাই নয়, এরাজ্যের এক নাগরিককে অন্য রাজ্যের রাজ্যসভার আসনে বিজেপি সংসদে পাঠাবেন৷ তাছাড়া, বিজেপির দুই সাংসদকে ত্রিপুরার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে বলেও এদিন তিনি জানিয়েছেন৷ ফলে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে বিজেপিও যে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে চাইছে না তা দলের রাজ্য সভাপতির বক্তব্যে স্পষ্ট৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *