BRAKING NEWS

খোয়াই পুর পরিষদের বিস্তীর্ণ এলাকায় পানীয় জলের তীব্র সংকট

নিজস্ব প্রতিনিধি, খোয়াই, ১৮ সেপ্ঢেম্বর৷৷ খোয়াই ডিডব্লিউএস দপ্তর কি খোয়াইয়ের জনগণকে বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ করছে? বাস্তব তথ্য বলছে একদমই না৷ কারণ দপ্তর যে বেশিরভাগ এলাকায় পরিষেবা দিতেই ব্যর্থ বলে অভিযোগ উঠছে৷ খোয়াই পুর পরিষদ এবং খোয়াই ব্লক এলাকা সহ গ্রামাঞ্চলে একই দুর্দশা৷ বর্তমানে যিনি দায়ভার নিয়ে কাজ করছেন উনার রুক্ষতায় জনগণ নাজেহাল৷ কোন প্রকার যোগ অভিযোগ নিয়ে উনার সাথে কথা বলতে গেলে মনে হয় উনি অন্য কোন গ্রহ থেকে এসেছেন৷ উনি কাউকেই তোয়াক্কা করেন না বলে নিজেই ঘোষণা দেন৷ বলেন আমি কাউকে কিছু বলতে পারব না৷ কথা শুনব কি শুনব না বা সংবাদ মাধ্যমকে তোয়াক্কা নয়৷ যা খুশি লিখতে পারেন৷ কিছু যায় আসে না৷ সব সময়ই হুঙ্কার৷ জনগণের অভিমত হতে পারে তিনি নানা সমস্যায় জড়িত৷ তা বলে এভাবে জনগণের কথপোকথন করার কোন কারণ থাকার কথা নয়৷ তিনি প্রমোশন পাবার কথা দু’বছর আগেই৷ কিন্তু পাননি৷ এটা উনার দপ্তরের ব্যাপার৷ তিনি যখন দায়ভার নিয়ে খোয়াই এসেছেন এবং বাড়িতে থেকে চাকুরি করছেন তখন জনগণের কথা ভাবা দরকার বলে মনে করেন জনসাধারণ৷ তিনি ১৯৮৯-৯০ সালে বিশ্বব্যাঙ্কের প্রদত্ত টাকা ব্যয়ে তেলিয়ামুড়া চাকমাঘাট এলাকায় খোয়াই নদীর উপর বাঁধ নির্মাণের দায়িত্বে ছিলেন৷ একাজে কি হয়েছিল তা খোয়াইবাসীর জানা৷
খোয়াই পুর পরিষদের অন্তর্গত গণকী, লালছড়া, আংশিক সুভাষপার্ক, ঘোষপাড়া সহ চৌদ্দকানি এলাকা এবং গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় জলের জন্য কষ্ট করতে হচ্ছে জনগণকে৷ কিছু সুবিধাভোগী অবৈধভাবে মটর ব্যবহার করছেন এবং জল অপচয় করছেন৷ বিশেষ করে সরকারি কোয়ার্টার, অফিসগুলোতে জল অপচয় বেশি হচ্ছে৷ কিন্তু গোটা বিষয়ে উনাকে জানালে বলতে শুরু করেন, দায়ভার ডি ডব্লিউএস দপ্তরের নয়৷ দায়ভার পুর পরিষদের৷
খোয়াইতে যে জলের লাইন আছে ৫০০ পরিবার তা পেতে পারে৷ বর্তমানে প্রায় ২০০০ কানেকশন আছে৷ সুতরাং পরিষেবা এরকমই হবে৷ অথচ সারাইয়ের নামে যত সামান্য সারাই করা হচ্ছে৷ বিভিন্ন এলাকায় জলের পাইপের ভেতর ময়লা আবর্জনার পাহাড় জমে গেছে৷ ছবিতেই তা পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে৷ অনুমান করা যাচ্ছে সারাইয়ের অবস্থা৷
তাছাড়া প্রতিদিন নিয়মিত জল ছাড়া হয় না৷ যেদিন দেওয়া হয় খুব কম সময়ই দেওয়া হয়৷ কোনোদিন দুই বেলা ৪০ মিনিট আবার ৩০ মিনিট৷ এভাবেই চলচে ডিডব্লিউএস দপ্তরের পরিষেবা৷ বেশিরভাগ কাজ এজেন্সি দিয়ে করানো হয়৷ খোয়াইশহরের অলি গলি পথ লাইন সারাইয়ের নামে বিভিন্ন জায়গায় গর্ত করে ফেলে রাখা হচ্ছে৷ ঠিকঠাক মেরামত করা হচ্ছে না৷ যার দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জনগণকে৷ তাই ক্ষুব্ধ জনগণের দাবি যতদিন দপ্তরের কর্তা দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছেন ততদিন জনগণের সাথে এভাবে কটুক্তি না করে ভাল কাজ করে জনগণকে পরিষেবা দেবার চেষ্টা যাতে করা হয়৷ এছাড়া জনসেবায় খোয়াই ডিডব্লিউএস দপ্তরের প্রতি যেন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ একটু নজর দিয়ে রাখেন, এমনটাই দাবি খোয়াইয়ের জনসাধারণের৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *