BRAKING NEWS

২৩/৮ আগরতলা সংঘর্ষ মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিস্ক প্রসূত, অভিযোগ সুদীপ বর্মনের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৯ আগষ্ট৷৷ ২৩/৮ আগরতলা সংঘর্ষের ঘটনা মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের মস্তিষ্ক প্রসূত বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন৷ সেই সঙ্গে তিনি আবারও দৃঢ়তার সাথে দাবি করেন ঐদিনে আইপিএফটির মিছিলে হামলা চালিয়েছে সিপিএম ক্যাডাররা৷ মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে সুদীপ রায় বর্মন চ্যালেঞ্জ ছঁুড়ে দিয়ে বলেন, মানিক সরকারের বুকের পাটা থাকলে ঐদিনের সংঘর্ষের ঘটনার সিবিআই তদন্ত কিংবা হাইকোর্টের বর্তমান বিচারপতি দিয়ে তদন্ত করানোর ব্যবস্থা করুক৷ যে কয়েকজনের ছবি পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে তারা শাসক দলের ক্যাডার বলেও দাবি করেন সুদীপ বর্মণ৷ পাশাপাশি শ্রীবমর্নের অভিযোগ ১৯৮০ সালের জুনের দাঙ্গার পুনরাবৃত্তি করার জন্য শাসকগোষ্ঠী ঐদিন সংঘর্ষের রূপ দিয়েছিল৷ জাতি উপজাতি অংশের জনগণের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করেছে শাসক দল ও বামফ্রন্ট সরকার৷
TMCসোমবার আগরতলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ২৩ আগষ্ট শহরে উপজাতি ও অনুপজাতিদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিতভাবে করেছে সিপিএম৷ আর এই সংঘর্ষের ঘটনার জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে সরাসরি অভিযুক্ত করেছেন৷ তিনি অভিযোগ করেছেন গোটা ঘটনাটি মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিস্ক প্রসূত৷ মেলারমাঠের শীর্ষ নেতারাও ঐ ঘটনার পূর্বে বৈঠক করেছিলেন বলে সুদীপবাবু অভিযোগ করেছেন৷ তিনি জানান, ২২ আগষ্ট দীপা কর্মকারের দিন সুকল সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ দেওয়া হয়নি৷ পরের দিন ইচ্ছাকৃতভাবে সুকল কলেজ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়৷ কারণ পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করলে সুকল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা পোহাতে হবে৷ তাতে কালিমালিপ্ত হবে গোটা প্রশাসন৷ ঐ কারণেই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আইপিএফটির মিছিলের দিন সুকল কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ সুদীপ রায় বর্মনের বক্তব্য সারা শহর আইপিএফটির মিছিল ছিল সুশৃঙ্খল৷ কর্ণেল চৌমুহনী ও বিদ্যুরকর্তা চৌমুহনীতে আসা মিছিলের শেষভাগে সিপিএমের ক্যাডাররা হামলা চালায়৷ এরপরই মিছিলে আসা উপজাতি অংশের লোকজন এলোপাথারি দৌঁড়ঝাপ শুরু করে৷ তারাও ভয়ে কিছু কিছু জায়গায় ভাঙচুর চালায়৷ স্বামী বিবেকানন্দ ময়দান থেকে লোহার রড উদ্ধারের প্রসঙ্গে সুদীপবাবু বলেন, আইপিএফটি কর্মী সমর্থকরা যদি লোহার রড নিয়ে মিছিলে এসে থাকে তাহলে তা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের জানা উচিত৷ এই বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের চরম ব্যর্থতাকে দায়ি করেছেন সুদীপ বাবু৷ প্রসঙ্গক্রমে সুদীপবাবু জানান, যে লোহাড় রড উদ্ধার করা হয়েছে তা মূলত কর্ণেল চৌমুহনীতে একটি দালানবাড়ি ভেঙে ফেলার পর যে রড ছিল তার কিছুটা অংশ৷ তিনি অভিযোগ করেন গোটা প্রশাসনই এখন সিপিএমের দখলে৷ বাম নেতাদের নির্দেশেই কাজ করে থাকে পুলিশ৷ স্বাভাবিক কারণেই এই ঘটনা জানা সত্ত্বেও মেলারমাঠের নির্দেশে পুলিশ আইপিএফটির লোকজন থেকে রড উদ্ধার করার নাটাক মঞ্চস্থ করেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *