নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১২ আগস্ট৷৷ দুয়েক দিনের মধ্যে পেট্রোল সংগ্রহে জোড়-বিজোড় ফর্মূলা তুলে দেওয়া হতে পারে৷ সূত্র অনুসারে জানা গেছে, এখনই জোড়-বিজোড় ফর্মূলা তুলে দেওয়া ঠিক হবে কিনা সে বিষয়ে দপ্তর চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে৷ পেট্রোলের মজুত এবং সরবরাহ ব্যবস্থাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ ইতিমধ্যে রো-রো র্যাকে করে জ্বালানি তেল রাজ্যে এসেছে৷ আরো তেল রো-রো র্যাকে করে আসবে৷ এদিকে, জাতীয় সড়ক দিয়েও প্রায় স্বাভাবিকভাবেই ট্যাঙ্কার আসতে পারছে৷ ফলে, আগামীদিনে পেট্রোল সংকট আবার দেখা দেবে কিনা সেই বিষয়টি পুরো নিশ্চিত হওয়ার পর প্রাথমিকভাবে জোড়-বিজোড় ফর্মূলা তুলে দেওয়ারবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার৷
এদিকে, পেট্রোলের রেশনিং এখনই তুলতে চাইছে না রাজ্য সরকার৷ কারণ, একবার রেশনিং তুলে দিতে মাত্রই ফের যদি পেট্রোলের সংকট দেখা দেয় তখন পুনরায় এপদ্ধতি চালু করতে হবে৷ সে পথে হাঁটতে চাইছে না রাজ্য সরকার৷ সূত্র অনুসারে জানা গেছে, রেশনিং পদ্ধতি তুলে দেওয়ার বিষয়ে রাজধানী আগরতলা শহরের সমস্ত পেট্রোল পাম্পের কি পরিমাণ তেল মজুত রয়েছে এবং সরবরাহ ব্যবস্থা কি রকম থাকবে তার ভিত্তিতে দপ্তর একটি রিপোর্ট তৈরি করে রাজ্য সরকারের কাছে জমা দেবে৷ এরপরই এবিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে৷ সূত্র অনুসারে জানা গেছে, জোড়-বিজোড় ফর্মূলার কারণে পেট্রোলবাহী যান চালকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে৷ অসন্তোষ হওয়া স্বাভাবিক বলে রাজ্য সরকারও মানছে৷ ফলে, প্রাথমিকভাবে দুয়েকদিনের মধ্যে এই ফর্মূলা তুলে দেওয়ার পথে হাঁটবে রাজ্য সরকার বলে মনে করা হচ্ছে৷
এদিকে, সারা রাজ্যে আপাতত পেট্রোল-ডিজেল সরবরাহ মোটামুটি স্বাভাবিক হয়েছে৷ বৃহস্পতিবার ধর্মনগর ডিপো থেকে ১২টি পেট্রোল এবং ১১টি ডিজেলবাহী ট্যাঙ্কার রাজ্যের বিভিন্ন পাম্পের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে৷ শুক্রবার পেট্রোল- ডিজেল মিলে ৩১টি ট্যাঙ্কার রাজ্যের বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছে৷ খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় সড়ক অনেকটাই স্বাভাবিক হওয়ায় পেট্রোল- ডিজেলবাহী ট্যাঙ্কার আসতে পারছে৷ দপ্তরের মতে, এইভাবে পেট্রোল-ডিজেল বাহী ট্যাঙ্কার আসলে জোড়-বিজোড় ফর্মূলার পাশাপাশি রেশনিং পদ্ধতিও তুলে দেওয়া সম্ভব হবে৷