নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১২ আগস্ট৷৷ আইওসি’র তালবাহানায় ধর্মনগর তেল ডিপো পর্যন্ত মিটারগেজ লাইন থেকে ব্রডগেজে রূপান্তরের কাজ ঝুলে রয়েছে৷ ফলে, রেলে করে সরাসরি ধর্মনগর ডিপো পর্যন্ত জ্বালানি তেল পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না৷ সূত্রের বক্তব্য, ধর্মনগর তেল ডিপো পর্যন্ত রেল লাইন ব্রডগেজে রূপান্তর করতে গেলে ১৬ কোটি টাকা খরচ হবে৷ ইতিমধ্যে এবিষয়ে পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলওয়ে সার্ভে করে আইওসি’র কাছে প্রস্তাব দিয়েছে৷ কিন্তু আইওসি এই অর্থ রেলওয়েকে দিতে গরিমসি করছে৷ উল্লেখ্য, রেলে করে এক র্যাক জ্বালানি তেল একসাথে নিয়ে আসা সম্ভব৷ তবে, ধর্মনগর ডিপোতে অর্ধেক র্যাক তেল ধারণ ক্ষমতা রয়েছে৷ এদিকে, শিলচরের রামনগরে আইওসি’র যে ডিপো রয়েছে সেখানেও অর্ধেক র্যাক তেল ধারণ ক্ষমতা আছে৷ ফলে, পরিকল্পনা করা হয়েছিল এক র্যাক জ্বালানি তেলের মধ্যে অর্ধেক শিলচরের রামনগর ডিপোতে এবং বাকি অর্ধেক ধর্মনগর ডিপোতে পাঠানো হবে৷ শিলচরের রামনগর ডিপো পর্যন্ত মিটারগেজ রেল লাইন রয়েছে৷ সেখানেও ব্রডগেজে রূপান্তর করতে হবে৷ তাতে, খরচ হবে ১০ কোটি টাকা৷ আইওসি ইতিমধ্যে সেই টাকা পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলওয়েকে দিয়েছে৷ কিন্তু ধর্মনগরের ক্ষেত্রে আইওসি গরিমসি করে চলেছে৷
ধর্মনগর তেল ডিপো পর্যন্ত রেল লাইন ব্রডগেজে রূপান্তর হয়ে গেলে জ্বালানি তেল নিয়ে চিন্তা অনেকটাই দূর হবে৷ বর্ষা মরশুমে জাতীয় সড়ক বেহাল হয়ে পড়লেও রেলে করে ধর্মনগর ডিপো পর্যন্ত জ্বালানি তেল নিয়ে আসা সম্ভব হবে৷ এনিয়ে বহুবার রাজ্য সরকারের তরফেও রেল ও আইওসিকে উদ্যোগ গ্রহণ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে৷ সূত্র অনুসারে জানা গেছে, সম্প্রতি এবিষয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ ঐ বৈঠকে পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলওয়ে এবং আইওসি’র কর্মকর্তারা রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ও খাদ্য মন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেছেন৷ তাতে, বলা হয়েছে শীঘ্রই ধর্মনগর ডিপো পর্যন্ত রেল লাইন ব্রডগেজে রূপান্তর করার কাজ দ্রুত শুরু করতে৷ কিন্তু আইওসি ব্রডগেজে রূপান্তরের খরচ বহন করার বিষয়ে যে তালবাহানা করছে তা অসন্তোষজনক বলেই মনে করা হচ্ছে৷