নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ৬ আগষ্ট৷৷ বিরহের বেদনা সহ্য করতে না পেরে এবং নিজের একমাত্র সন্তানকে ভুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করে দম্পতি৷ বর্তমানে দম্পতি জিবি হাসপাতালে গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন৷ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে তেলিয়ামুড়া থানাধীন কৃষ্ণপুর এলাকায়৷ ঘটনার বিবরনে জানা গেছে, তেলিয়ামুড়া থানাধীন কৃষ্ণপুর এলাকায় বাসিন্দা মমতা দাস (২৬) এর সাথে সামাজিক ভাবে বিয়ে হয় আগরতলার নারায়ণপুরের বাসিন্দা রাকেশ দাস (৩০) এর বছর তিনেক পূর্বে৷ এরই মধ্যে তাদের একটি সন্তানও হয়৷ কোনো একটি বিষয় নিয়ে রাকেশ তার শুশ্বড় বাড়ীর সাথে সুসর্ম্পক ছিলনা৷
এদিকে রাকেশের স্ত্রী মমতা নিজের বাপের বাড়িতে বেড়াতে এসে সে আর স্বামীর ঘরে ফিরে যাচ্ছিলেন না দীর্ঘদিন ধরে৷ মমতা তার সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়িতেই থাকতে শুরু করে৷ গত বুধবার রাকেশ তার স্ত্রী মমতাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য তেলিয়ামুড়া থানাধীন কৃষ্ণপুরস্থিত শুশ্বড় বাড়ীতে আসে৷ কিন্তু মমতা তার স্বামীর ঘরে ফিরে যেতে চাইলেও বাঁধ সাধে তার বাবা এর পরক্ষনেই আত্ম অভিমানে তথা স্বামী স্ত্রী বিরহ বেদনা সহ্য করতে না পেরে এক সাথে কীটনাশক ঔষুধ খায়৷ কিছুক্ষন পর রাকেশ দাস ও মমতা দাস অচৈতন্য হয়ে পড়ে৷ বাড়ী ঘরের লোকজন এই দম্পতি তড়িঘড়ি তেলিয়ামুড়া হাসপাতালে নিয়ে আসে৷ কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের জিবি হাসপাতালে রেফার করে দয়ে৷ জানা গেছে, এই দম্পতি জিবিতে সংকট জনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন৷ এব্যাপারে রাকেশে বাড়ির লোকজন তেলিয়ামুড়া থানায় এক অভিযোগ দায়ের করে মমতা দাসের বাবার বিরুদ্ধে৷