আগরতলা থেকে দূরপাল্লার যাত্রীরেলের ফের স্বপ্ণ দেখানো শুরু, সংসদের বাদল অধিবেশনের ফাঁকে এক্সপ্রেস ট্রেনের সূচনায় আসতে পারেন রেলমন্ত্রী, জানালেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী

RAIL TRIPURAনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ জুলাই৷৷ রাজ্যবাসীর বহু কাঙ্খিত দূরপাল্লার স্বপ্ণের রেল যাত্রা হয়ত বা এখন আর সময়ের অপেক্ষা৷ পাহাড় লাইন খুলে যাওয়ায় আশা করা যাচ্ছে আগামী কিছুদিনের মধ্যে রেলে করে রাজ্যবাসী আগরতলা থেকে সরাসরি গুয়াহাটি, কলকাতা কিংবা দিল্লি ছুটে যেতে পারবেন৷ এবিষয়ে পরিবহন মন্ত্রী মানিক দে জানিয়েছেন, দিন চারেক আগে রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভুর সাথে তাঁর কথা হয়েছে৷ তিনি রেলমন্ত্রীকে রাজ্যে আসার জন্য আমন্ত্রণও জানিয়েছেন৷
কারণ, যেহেতু পাহাড় লাইন এখন চালু হয়ে গেছে এবং শিলচর থেকে দূরপাল্লার যাত্রী রেল ছুটতে শুরু করেছে৷ ফলে, আনুষ্ঠানিকভাবে রাজ্যে ব্রডগেজে দূরপাল্লার যাত্রী রেলের সূচনা করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা নেই বলেই পরিবহন মন্ত্রী মনে করেন৷ সেই অর্থে রেলমন্ত্রীকে তিনি শিঘ্রই আগরতলা থেকে দূরপাল্লার যাত্রী রেলের সূচনা করার অনুরোধ জানিয়েছেন৷ এবিষয়ে রেলমন্ত্রীও ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন৷ তবে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে শুরু হচ্ছে সংসদে বাদল অধিবেশন৷ ফলে, বাদল অধিবেশনের মাঝখানে কোন একটা ফাঁকা সময়ে আগরতলা থেকে দূরপাল্লার যাত্রী রেল সূচনা আনুষ্ঠানিকভাবে করা হবে রেল মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন৷ পরিবহন মন্ত্রী জানিয়েছেন, দূরপাল্লার যাত্রী রেলের আনুষ্ঠানিক সূচনার দিনক্ষণ মুখ্যমন্ত্রীর সাথে রেলমন্ত্রী আলোচনা করে ঠিক করবেন৷
তাতে, মনে করা হচ্ছে, হয়ত এবার রাজ্যবাসীর দূরপাল্লার স্বপ্ণের যাত্রী রেলের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে৷ মাস দুয়েক আগেই আগরতলা দূরপাল্লার যাত্রী রেলের আনুষ্ঠানিক সূচনা হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে স্তব্ধ হয়ে যায় পাড়াড় লাইন৷ মাইগ্রেনদিসায় রেল ট্র্যাকের মাটি বসে গিয়ে যাত্রীবাহী এবং পণ্যবাহী উভয় রেল চলাচল বন্ধ করে দেয় পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলওয়ে৷ বহু চেষ্টা করেও যখন এই সমস্যার সমাধান হচ্ছিল না, তখন ডাইভারসনের প্রস্তুতি নেয় রেলওয়ে৷ সে অনুযায়ী ৩০০ মিটার ডাইভারসন করা রেল ট্র্যাক৷ নতুন এই ট্র্যাক দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয় পণ্যবাহী ইঞ্জিন৷ তাতে সফলতা মিলতেই পণ্যবাহী রেলের জন্য খুলে দেওয়া হয় পাহাড় লাইন৷ এখন শিলচর থেকে দূরপাল্লার যাত্রী রেলও চালু করে দিয়েছে পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলওয়ে৷ তাতে, রেল কর্তারা নিশ্চিত হয়ে গেছেন, নতুন করে আর কোন সমস্যা হবে না পাহাড় লাইনে৷ ডাইভারসন ট্র্যাক দিয়ে সুরক্ষিতভাবে পণ্যবাহী এবং যাত্রীবাহী রেল চলাচল করছে৷
পাহাড় লাইনের উন্নতিতে এখন রাজ্যও চাইছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আগরতলা থেকে দূরপাল্লার যাত্রী রেলের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়ে যাক৷ তাই আশা করা যাচ্ছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আগরতলা থেকে দূরপাল্লার এক্সপ্রেস ট্রেন গুয়াহাটি, কলকাতা কিংবা দিল্লির উদ্দেশ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে পাড়ি দেবে৷