BRAKING NEWS

দল ভাঙানোর কাজে নেমেছেন মমতা, নৈতিকতা বিরোধী বললেন বীরজিৎ

PCCনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৫ জুলাই৷৷ ত্রিপুরায় দল ভাঙানোর কাজে তৃণমূল কংগ্রেস যেভাবে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে তা নৈতিকতা বিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি৷ দল ভাঙানোর খেলায় নেমে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি এ রাজ্যে কোনদিনই সফল হবেন না বলে উল্লেখ করেন তিনি৷ এরাজ্যের মানুষ যথেষ্ট রাজনৈতিক সচেতন৷ সাময়িক বিভ্রান্ত হয়ে যারা অন্য দলে সামিল হচ্ছেন তারাও ঘরে ফিরে আসবেন বলে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে জানান৷ এরাজ্যে কংগ্রেস দল ভাঙ্গানোর খেলায় নেমে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী এ রাজ্যের শাসনক্ষমতা থেকে সিপিআইএমকে উৎখাত করার বদলে সিপিএমের স্থায়ীত্ব বাড়ানোরই কৌশল নিয়েছেন৷ কংগ্রেস বরাবরই এরাজ্যে সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রেখেছে৷ ভবিষ্যতেও কংগ্রেসই সিপিআইএমের প্রধান প্রতিপক্ষ বলে উল্লেখ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি৷ অতীতেও এরাজ্যে কংগ্রেস দলকে দুর্বল করার জন্য মমতা ব্যানার্জী স্বয়ং এরাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠন চাঙ্গা করার চেষ্টা করেছেন৷ কিন্তু সাফল্য পাননি৷ চমকধারীতে মানুষ আকৃষ্ট হননি৷ এযাত্রায়ও একই পরিণতি ঘটবে বলে তিনি মন্তব্য করেন৷ রাজ্যের মানুষ মমতা ব্যানার্জীকে উচিত শিক্ষাই দেবেন৷ কংগ্রেস দল এরাজ্যে শক্তি সঞ্চয়ের লক্ষ্যে আন্দোলন জারি রেখে চলেছে৷
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে চিটফান্ড কেলেঙ্কারীই হবে কংগ্রেসের নির্বাচনের প্রধান ইস্যু৷ মানুষের কষ্টার্জিত টাকা পয়সা রাজ্য সরকারকে ফেরত দিতে হবে বলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন৷
চিটফান্ড ইস্যুতে ১১ জুলাইয়ের প্রস্তাবিত পশ্চিম জেলার জেলাশাসকের নিকট ধর্না কর্মসূচীটি আপাতত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ মাসের শেষের দিকে এই ধর্না আন্দোলন সংগঠিত করা হবে৷ এই উপলক্ষ্যে আগরতলায় মিছিল এবং সমাবেশও হবে৷ এই মিছিল ও সমাবেশকে ঐতিহাসিক রূপ দিতে রাজ্যব্যাপী প্রচার করা হবে৷ প্রদেশ কংগ্রেস স ভাপতি জানান, তিনি নিজে ৬০টি বিধানসভা কেন্দ্রে এই উপলক্ষ্যে প্রচার করবেন৷ দিল্লির নেতারাও এই সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন৷ সাংবাদিক সম্মেলনে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আরো জানান, চিটফান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত আমানতকারীদের টাকা রাজ্য সরকারকেই ফিরিয়ে দিতে হবে৷ চিটফান্ট ইস্যুটি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস দলের মুখ্য ইস্যু থাকবে বলেও জানান তিনি৷ এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধেও এক হাত দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি৷ বেশ কিছু নেতা কর্মী দলত্যাগ করায় যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে শূন্যস্থান পূরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ কংগ্রেস দলের টিকেট এবং প্রতীক চিহ্ণে জয়ী হয়েও কংগ্রেস দল ত্যাগ করে যেসব বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন তাদের ধিক্কার জানানো হয়েছে৷ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জানান, তিনি মমতা দিদিমণির কাছে জানতে চান রাজ্য কংগ্রেসকে ভাঙতে সারদা নারদার কত কোটি টাকা তিনি খরচ করেছেন৷ সাংবাদিক সম্মেলনে প্রদেশ কংগ্রেস দলের মুখপাত্র আইনজীবী হরেকৃষ্ণ ভৌমিক জানান, বিশ্ববন্ধু সেনকে বহিষ্কারের আগে দলীয় গঠনতন্ত্র মেনে সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে৷ উনাকে শোকজ করাও হয়েছে, একাধিকবার চিঠিও দেওয়া হয়েছে৷ শ্রী ভৌমিক আরো জানান, যে বিধায়করা দল ছেড়ে অন্য দলে গেছেন তাদের নৈতিকভাবে পদত্যাগ করা উচিত৷ মূল্যবোধ এবং নৈতিকতা থাকলে বিধায়ক পদ ছেড়ে দিয়ে অন্য দলে যোগ দিতেন তারা৷ শ্রী ভৌমিক আরো জানান, তিনি আশাবাদী মানুষ আবার কংগ্রেস দলে ফিরে আসবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *