করফাঁকিতে রেহাই পাবে না কেউ, ‘মন কি বাত’-এ হুঁশিয়ারী প্রধানমন্ত্রীর
নয়াদিল্লি, ২৬ জুন (হি.স.) : করফাঁকি দিয়ে ছাড় পাবেন না কেউ।রবিবার ২১ তম ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে বার্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। এবারের অনুষ্ঠানে আলোচনার বিষয়বস্তু যোগ হলেও ১৯৭৫ সালের জরুরী অবস্থা থেকে শুরু করে হালফিলের কালোটাকা, দেশে বর্ষার আগমন থেকে শুরু করে বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও, সবই উঠে এল তাঁর বক্তব্যে। শুভেচ্ছা জানালেন যুদ্ধবিমানের তিন মহিলা পাইলটকে। তাঁর বক্তব্যে উঠে এসেছে দেশে বিজ্ঞানচর্চার প্রসঙ্গও।
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণতান্ত্রিক দেশ হওয়ায় কার কি পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে সেব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সমস্ত গোপন সম্পত্তির হদিশ সরকারের কাছে প্রকাশ না করলে, কড়া ব্যবস্থা নেবে সরকার। এমন অনেক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী রয়েছেন, যাঁরা মাসে ১৬ হাজার টাকা পেনশন পেলেও তার থেকে ৫০০০ টাকা ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ প্রকল্পে দান করেন। এমন অবস্থায় কেউ করফাঁকি দিয়ে ছাড় পেয়ে যাবেন তা হয় না।
সেইসঙ্গে বলেন কয়েক সপ্তাহ ধরেই দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বৃষ্টির খবর আসছে। কৃষকদের জন্য সুখবর। আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস মতোই বর্ষা এসেছে দেশে।
এদিনের অনুষ্ঠানে সম্প্রতি ২০টি উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানোর জন্য ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো-কে শুভেচ্ছা জানান তিনি। বলেন, কৃষকদের মত বিজ্ঞানীরাও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পরিশ্রম করে চলেছেন। কলেজের ছাত্রদের তৈরি করা স্যাটেলাইট আজ মহাকাশে পাড়ি দিচ্ছে। কৃত্রিম উপগ্রহ তৈরির বিষয়টি বুঝিয়ে দেয় দেশে বিজ্ঞানচর্চার মান। পাশাপাশি তা যুবকদের অনুপ্রেরণা জোগায়।
তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে “বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও” প্রকল্প । এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেকের হৃদয় স্পর্শ করেছে “বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও” প্রকল্প। ভারতীয় বায়ুসেনাতে যুদ্ধবিমানের পাইলট হিসেবে ৩ মহিলার যোগদানের কথা বলেন। যা দেশবাসীর গর্ব বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এদিন যোগ দিবসের কথাও উঠে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে। তিনি বলেন, “যোগ দিবসে ভারত ও বিশ্বজুড়ে বহু মানুষ যোগাভ্যাস করেছেন। তাছাড়া যোগ নিয়ে পোস্টাল স্টাম্পও বের করা হয়েছে। সোশাল নেটওয়ার্কি সাইট টুইটারও স্পেশাল ইমোজির মাধ্যমের যোগদিবস পালন করেছে। তাছাড়া ডায়াবেটিসের মত রোগ যোগের মাধ্যমে নির্মূল হতে পারে। তাই আমাদের যোগাভ্যাস করা উচিত।”
সবশেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রায়শই মন কি বাত সমালোচিত হয়। এটা মাথায় রাখতে হবে, দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই এই বিতর্ক সম্ভব হয়। দেশে জরুরী অবস্থা জারির কথা মনে করুন।”-