BRAKING NEWS

বিকল্প জাতীয় সড়কে কলা গাছ, ধানের চারা রোপণ করে প্রতিবাদ স্থানীয় বাসিন্দাদের

ANOTHER ASSAM AGARTALA ROAD PICনিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি, ১৩ জুন৷৷ গত ছয়দিন থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ত্রিপুরা অসম দুটি রাজ্যের৷ কিন্তু কুম্ভনিদ্রায় অসমের করিমগঞ্জের জেলা প্রশাসন এবং ত্রিপুরা রাজ্যের  প্রশাসন৷ অসমের বরাক উপত্যকার করিমগঞ্জ জেলার লোহারপোয়া থেকে অসম ত্রিপুরা সীমান্ত চুড়াইবাড়ি পর্যন্ত ৮নং জাতীয় সড়কের মধ্যে আটকে রয়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার লরি৷ এই প্রতিবেদন প্রস্তুত করা পর্যন্ত নির্মাণ সংস্থা এবিসি আই, এক্সক্যাভেটর ও জিসিবি দিয়ে ধাক্কা মেরে মেরে কাদা থেকে তুলে পার করে দিচ্ছে বিভিন্ন সামগ্রী বোঝাই লরি ও লোকে৷  কিন্তু এভাবে কতটা গাড়ি পার করা সম্ভব হবে৷ আকাশের অবস্থাও সুবিধাজনক নয় প্রতিদিনই বৃষ্টিপাত হচ্ছে৷ অসম-ত্রিপুরা জাতীয় সড়কটির অবগত থাকলেও বিগত কয়েক বছর যাবৎ এই দুই রাজ্যের রাজ্য সরকার তেমন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না৷ জ্যামে ৫-৬দিন থেকে ফেঁসে থাকা চালকদের হাহাকার শুরু হয়ে গেছে৷ চালকদের খাবার দাবার কিছুই মিলছে না৷ দেখা দিয়েছে পানীয় জলেরও তীব্র সংকট৷ খাল নালার জলপান করে কোনভাবে দিন কাটাচ্ছেন লরি চালকরা৷ NH8 PIC1জাতীয় সড়কটি দীর্ঘ কয়েক বছর থেকে যেন অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে৷ চালকদের দুঃখ দুর্দশ মোচনে  কেউ এগিয়ে আসছে না৷ জাতীয় সড়কের এই হালের কথা একাংশ প্রিন্ট মিডিয়া এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার হলেও  অসমের দিসপুর এবং ত্রিপুরার আগরতলা এনিয়ে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না৷ যদিও নির্মাণ সংস্থা এবিসিআই লোহারপোয়া থেকে চুড়াইবাড়ি পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার বেহাল অংশকে সারিয়ে তুলতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে৷ কিন্তু নির্মাণ সংস্থা কাঁদায় ফেঁসে যাওয়া লরি পার করবে, না রাস্তা ঠিক করবে? প্রশ্ণ উঠছে সচেতন মহলে৷ চুড়াইবাড়ি থেকে বৈঠাখাল ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত রাস্তায় গাড়ির লম্বা লাইন রয়েছে৷ এদিকে রাজ্যের চুড়াইবাড়ি তেকে চান্দপুর পর্যন্ত কয়েক হাজার লরির দীর্ঘ লাইন রয়েছে৷ এদিকে অভিযোগ উঠছে নির্মাণ সংস্থা এবিসি আইয়ের বিরুদ্ধে৷ তারা নাকি গর্ত ও কাদায় ফেঁসে যাওয়া লরি জেসিবি দিয়ে পার করতে কোন কোন সময় চালকদের কাছে অর্থ দাবি করছে৷ এরই মধ্যে রবিবার দুপুরে চালক ও সহ চালকের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় পরিস্থিতি  উত্তপ্ত হয়ে উঠে৷ যদিও অসমের চুড়াইবাড়ির পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ সুপ্রিয় ভট্টাচার্য সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন৷ এদিকে চান্দঘিরা কাঁঠালতলীর বিকল্প জাতীয় সড়কটিও বন্ধ হয়ে পড়েছে দীর্ঘদিন যাবত৷ এই বিকল্প সড়ক দিয়ে অবৈধভাবে করমুক্ত সামগ্রী ও বিভিন্ন নেশা সামগ্রী পাচার চলছে৷ ফলে এই সড়কটি ও বর্তমানে চরম বেহাল অবস্থায় রয়েছে৷ কাঠালতলির স্থানীয় নাগরিকরা বার বার অবৈধ  সামগ্রী  পাচার বন্ধের দাবি জানালেও কাজ হয়নি৷ এনিয়ে স্থানীয় নাগরিকরা বিকল্প জাতীয় সড়কে ধানের চারা, কলা গাছ ও সবজি রোপণ করে প্রতিবাদ জানান৷ ক্ষুব্ধ নাগরিকরা জানান, জনস্বার্থে তাদের এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে৷ তারা আর জানান গত শনিবার করিমগঞ্জ মহকুমা শাসক বেহাল বিকল্প জাতীয় সড়ক পরিদর্শন করে বলেছিলেন দুগাড়ি পাথর ফেলা হবে এই সড়কে৷  কিন্তু পাথরের বদলে পাথরের ডাস্ট ফেলা হয়৷  তাও পরিমাণে অতি সামান্য৷  যার ফলে সমস্যা রয়ে গেছে সে তিমিরেই৷ অপরদিকে ত্রিপুরা রাজ্যের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া ও রাজ্যের লাইফ লাইন বন্ধ হয়ে পড়াতে রাজ্যের খাদ্য ও জ্বালানি  সংকট দেখা দিয়েছে৷ কিন্তু কুম্ভ নিদ্রায় রাজ্যের প্রশাসন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *