BRAKING NEWS

এবার থেকে অসমে গরিব ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যের উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থা

গুয়াহাটি, ১২ জুন, (হি.স.) : রাজ্যের গরিব তথা দারিদ্র্যসীমার নীচের ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের উচ্চশিক্ষা পুরোপুরি বিনামূল্যে নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মা। এই তথ্য দিয়ে মন্ত্রী জানান, বিজেপি-র নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী গরিব-দুস্থ ছাত্রছাত্রীদের জন্য এই ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে। বলেন, যে সব ছাত্রছাত্রীর বা-মা-র বার্ষিক আয় এক লক্ষ বা তার কম সেইসব পরিবারের সন্তান যারা উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক এবং পলিটেকনিক ডিপ্লোমা পাঠক্রমে পড়তে চায় তারাই এই সুবিধা পাবে। এই সব পাঠ্যক্রমে তাদের কোনও ধরনের ভরতি মাশুল অর্থাৎ কলেজ উন্নয়ন মাশুল, শিক্ষা মাশুল, ক্রীড়া মাশুল ইত্যাদি কোনও কিছুই দিতে হবে না। ভরতির জন্য কানাকড়িও দিতে হবে না তাদের। আরও পরিষ্কার করে তিনি জানান, উচ্চ মাধ্যমিকের দুই বছর, ত্রিবর্ষীয় স্নাতক, ডিপ্লোমার প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয়, কোনও বছরই এক টাকাও ভরতি মাশুল গুনতে হবে না। এক কথায় পুরো পাঠ্যক্রমই তারা বিনামূল্যে পড়ার সুযোগ পাবে। মন্ত্রী হিমন্ত আরও জানান, পরবর্তীতে স্নাতকোত্তর, মেডিক্যাল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি ক্ষেত্রেও বিনামূল্যে পড়াশুনার ব্যবস্থা করার কথা তাঁরা ভাবছেন।

তবে তাঁরা যে দারিদ্র্যসীমার নীচের পরিবারভুক্ত তার প্রমাণ হিসেবে সংশ্লিষ্ট ছাত্রছাত্রীর বাবা-মা যদি কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারের চাকরিজীবী হন তাহলে তাদের ভরতি ফরমের সঙ্গে বেতনের পে-স্লিপ জুড়ে দিতে হবে। যদি সরকারি না-হয়ে বেসরকারি চাকরিজীবী হন তাহলে নির্দিষ্ট কোম্পানির নিয়োগকর্তার কাছ থেকে উপার্জনের প্রমাণপত্র দিতে হবে। যদি কেউ চাকরিজীবী না-হন, তাহলে সংশ্লিষ্ট ছাত্রছাত্রীর বাবা বা মাকে তাঁদের গ্রামের মৌজাদার অথবা সার্কল অফিসারের কাছ থেকে উপার্জনের প্রামাণপত্র দিতে হবে ভরতি ফরমের সঙ্গে। এছাড়াও নির্দিষ্ট ছাত্রছাত্রী যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভরতি হতে চান সেই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ কিংবা পরিচালন সমিতি যদি ইচ্ছে করে তাহলেও তাঁরা সেই সুবিধা পাবেন।

রাজ্য সরকার প্রবর্তিত বিনামূল্যের এই সুযোগ যে কেবল দারিদ্য্যসীমার নীচের পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তা নয় বলে জানিয়ে মন্ত্রী জানান, এজন্য রাজ্যকে বছরে অতিরিক্ত ৭০ থেকে ৭৫ কোটি টাকা খরচ করতে হবে।-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *