BRAKING NEWS

অনেক জল ঘোলার পর অবশেষে সিদ্ধান্ত, আগরতলা-শিলচর পরীক্ষামূলক রেল যাত্রার সূচনা হচ্ছে সোমবার থেকে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩০ এপ্রিল৷৷ অনেক জল ঘোলার পর অবশেষে আগরতলা থেকে ব্রডগেজে যাত্রী রেল পরিষেবা শুরু হচ্ছে৷ তবে, আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে সপ্তাহে দুদিন আগরতলা-শিলচর যাত্রী রেল চলবে বলে জানিয়েছেন পূর্বোত্তর

পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলের কর্তারা শেষ পর্যন্ত পরিবহন মন্ত্রীকে জানালেন আগরতলা-শিলচর পরীক্ষামূলক রেল চালানো হচ্ছে সোমবার থেকে৷ শনিবার তোলা নিজস্ব ছবি৷
পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলের কর্তারা শেষ পর্যন্ত পরিবহন মন্ত্রীকে জানালেন আগরতলা-শিলচর পরীক্ষামূলক রেল চালানো হচ্ছে সোমবার থেকে৷ শনিবার তোলা নিজস্ব ছবি৷

সীমান্ত রেলের মুখ্য পরিচালন আধিকারিক এ এস গারুর৷ মূলত, চাপের মুখে ত্রিপুরাবীসাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করল রেলমন্ত্রক৷ কারণ, আগরতলা থেকে বদরপুর পর্যন্ত সুরক্ষা পর্যবেক্ষণ শেষ হয়েছে বেশ কয়েকদিন অতিক্রান্ত৷ সেফটি কমিশনারের ছাড়পত্রও মিলেছে৷ তা সত্ত্বেও আগরতলা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছিল না ব্রডগেজে যাত্রী রেল পরিষেবা৷ কেবল ত্রিপুরাবাসী নয়, রাজ্য সরকারের তরফেও প্রচন্ড চাপ দেওয়া হয় আগরতলা থেকে যাত্রীরেল চালু করার জন্য৷ ফলে, আনুষ্ঠানিকভাবে নয়, পরীক্ষামূলকভাবে আপাতত রেল যাত্রা শুরু করে অনেকটা চাপ কমানোর কৌশল নিয়েছে রেলমন্ত্রক৷
শনিবার পরিবহনমন্ত্রী মানিক দে’র সাথে পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলের কর্তারা বৈঠক করেন৷ ঐ বৈঠকে পরিবহনমন্ত্রীকে জানানো হয় পরীক্ষামূলকভাবে রেল চালানোর বিষয়টি৷ এদিন, বৈঠক শেষে পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলের মুখ্য পরিচালন আধিকারিক এ এস গারুর জানান, আগামী সোমবার থেকে পরীক্ষামূলকভাবে আগরতলা-শিলচর রুটে ব্রডগেজে যাত্রীরেল শুরু হচ্ছে৷ সোমবার শিলচর থেকে রেল আসবে আগরতলায়৷ পরদিন আগরতলা থেকে শিলচরের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে যাত্রী রেলটি৷ তিনি জানান, সপ্তাহে দুদিন শিলচর থেকে রেল আসবে এবং দুদিন আগরতলা থেকে রেল যাবে৷ আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে রেল চালিয়ে এই রুটের যাবতীয় খঁুটিনাটি বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে৷ এদিন, তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে আগরতলা থেকে যাত্রী রেল চালু হতে পারে৷ তবে, তা নিশ্চিত বলে তিনি দাবি করেননি৷ তিনি এও বলেন, যেহেতু আসাম ও পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন চলছে, সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের অনুমতির একটি বিষয় রয়েছে৷ এদিন তিনি আরো জানান, ভারী বর্ষণের কারণে লামডিং-শিলচর রুটে রেল সার্ভিস বন্ধ হয়ে আছে৷ আশা করা যাচ্ছে, ততদিনে ঐ রুটে যাত্রী রেল চলাচল স্বাভাবিক হবে৷ তখন আগরতলা থেকে দূরপাল্লার যাত্রী রেল চালানোতে সমস্যা হবে না৷ এদিকে, শ্রীগারুরের বক্তব্যে একটা বিষয় নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, হয়ত বা বর্ষা মরশুমে আগরতলা থেকে যাত্রী রেল পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে৷
এদিকে, আনুষ্ঠানিকভাবে যেদিন যাত্রী রেল শুরু হবে সেদিন রাজধানী এক্সপ্রেস রাজ্যের জন্য বরাদ্দ করা হবে কিনা এই প্রশ্ণে শ্রীগারুর জানান, বিষয়টি বিবেচনার মধ্যে রয়েছে৷ তবে, আগরতলা থেকে সরাসরি দিল্লি পর্যন্ত এসি কামরা বিশিষ্ট এক্সপ্রেস ট্রেন বরাদ্দ করা হবে রাজ্যের জন্য৷ তবে সমস্ত কিছুই নির্ভর করছে রেল মন্ত্রকের উপর৷ এদিন তিনি আরো জানান, সাব্রুম পর্যন্ত রেল লাইন সম্প্রসারণের কাজ ২০১৮ মার্চ মাসের মধ্যে সমাপ্ত হবে৷ চলতি বছরের জুন মাসেই উদয়পুরে রেল যাবে বলে তিনি দাবি করেন৷ এদিকে, আগরতলা-আখাউড়া রেল প্রকল্প নিয়ে তিনি জানান, খুব শীঘ্রই জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হবে৷ আশা করা যাচ্ছে, আগামী মাস দুয়েকের মধ্যে এই প্রকল্পে কাজ শুরু হয়ে যাবে৷
এদিকে, পরিবহনমন্ত্রী মানিক দে জানিয়েছেন, আগরতলা-শিলচর রুটে রেল পরিষেবা আগেও ছিল৷ রেল লাইন ব্রডগেজে সম্প্রসারণে এই রুটে রেল পরিষেবা সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে৷ সেক্ষেত্রে এই রুটে পুনরায় রেল চলাচল শুরু করার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন পড়ছে না৷ তিনি জানান, পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলওয়েকে বন্ধ থাকা রেল পরিষেবাই পুনরায় চালু করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন৷ যাতে অন্তত ব্রডগেজে যাত্রী রেল শুরু হতে পারে রাজ্যে৷ ফলে, প্যাসেঞ্জার ট্রেন দিয়েই পুনরায় শুরু হতে চলেছে আগরতলা থেকে যাত্রী রেল৷ এদিন তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, একটি ট্রেন দিয়ে শুরু হলেও শীঘ্রই ট্রেনের সংখ্যা বাড়বে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *