BRAKING NEWS

বনমালীপুরে ইঞ্জিনিয়ারীংয়ের ছাত্র ও ৭৯ টিলায় গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য

suicideনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ এপ্রিল৷৷ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ছাত্র ফাঁসিতে আত্মহত্যা করেছে৷ বুধবার সকালে ভাড়া বাড়ি থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে৷ পুলিশ জানিয়েছে ঐ ছাত্রের নাম ইষ্টিয়ন দেববর্মা৷ মানসিক অবসাদেই ইষ্টিয়ন আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলে তার বাবা স্বপন দেববর্মা জানিয়েছেন৷
জানা গেছে, বনমালীপুর ভলকান ক্লাব সংলগ্ণ ভাড়া বাড়ি থেকে এনআইটিতে পড়ুয়া দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইষ্টিয়ন দেববর্মা’র(২৭) মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে৷ পুলিশ জানিয়েছে, সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ বাড়ির লোকজন ইষ্টিয়নের ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে অনেক ডাকাডাকি সত্ত্বেও দরজা না খোলায় সন্দেহ দেখা দেয়৷ দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে পরিবারের লোকেরা দেখতে পান ইষ্টিয়ন ফাঁসিতে আত্মহত্যা করেছে৷ সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পূর্ব আগরতলা থানায়৷ পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে জিবি হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়৷ ইষ্টিয়নের বাবা স্বপন দেববর্মা জানিয়েছেন, সে এনআইটিতে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র৷ মাস ছয়েক আগে পরীক্ষার ফলাফল বের হলে সে ফেল করে৷ তখন থেকেই মানসিকভাবে চূড়ান্ত বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ইষ্টিয়ন৷ তার বাবা জানিয়েছেন, মানসিক অবসাদের কারণেই ইষ্টিয়ন আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে৷ এই ঘটনায় সাত সকালে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷
নিজ বাড়িতেই ফাঁসিতে আত্মহত্যা করেছেন এক মাঝ বয়সী মহিলা৷ বুধবার সকালে রাজধানীর ৭৯টিলা এলাকায় এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে৷ মৃতার নাম শিবানি দাস(৫২)৷ তার স্বামী পরেশচন্দ্র দাস প্রাক্তন শিক্ষক৷ জানা গেছে, কয়েক বছর আগে গৃহকর্তা পরেশবাবু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী হন৷ এরপর থেকেই পরেশবাবুর স্ত্রী শিবানি দাস মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন৷ এর আগেও একবার ছাদের উপর থেকে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি৷ কিন্তু সে যাত্রায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন৷ তবে আজ আর শেষ রক্ষা হয়নি৷ আজ সকালে নিজ বাড়ি থেকেই ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়৷ ধারণা করা হচ্ছে, বাড়ির লোকজন যখন ঘুমিয়ে ছিলেন সে সুযোগে তিনি ফাঁসিতে আত্মহত্যা করেন৷ মৃতদেহ দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে জিবি ফাঁড়িতে খবর দেয় মৃতার মেয়ে৷ পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে৷ জানা গেছে, মৃতার স্বামী সহ এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে৷ এলাকাবাসীর মতে স্বামীর অসুস্থতা এবং সংসারে অভাব অনটনের কারণেই তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছিলেন৷ এর থেকেই আত্মহত্যা করার চেষ্টা আগেও করেছেন৷ এই ঘটনায় ৭৯ টিলা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷
প্রসঙ্গত, পৃথক স্থানে দুইজনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত অবশ্য পুলিশ শুরু করেছে৷ প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারনা দুটি ঘটনাই আত্মহত্যার৷ তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত পুলিশ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কিছুই৷ রাজ্যে আত্মহননের ঘটনা তথা অস্বাভাবিক মৃত্যু ক্রমেই বাড়ছে৷ অনেক ক্ষেত্রেই লক্ষ্য করা গিয়েছে, সঠিক তদন্ত না করেই পুলিশ হত্যার ঘটনাকেও আত্মহত্যার ঘটনা বলে চালিয়ে দিয়েছে৷ পাশাপাশি কোন কোন সময় রাজনৈতিক চাপ কিংবা প্রভাবশালীদের চাপে পড়ে মামলার মোড় ঘুরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *