BRAKING NEWS

সাংবাদিক নিয়োগে কেলেংকারীই আগরতলা দূরদর্শনের কর্তাদের মুখোশ খুলে দিয়েছে

EDUCATIONনিজস্ব প্রতিনিধি, খোয়াই, ১৩ এপ্রিল৷৷ আগরতলা দূরদর্শন কেন্দ্রে সাংবাদিক নিয়োগে জালিয়াতি ও নিয়মনীতি বিসর্জন দিয়ে যে নজীর স্থাপিত হয়েছে তার বিরুদ্ধে রাজ্যব্যাপী সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভ অসন্তোষ ক্রমেই বাড়ছে৷ ইতিমধ্যেই ক্ষুব্ধ সাংবাদিকদের তরফে প্রসার ভারতী ও কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকে তথ্যভিত্তিক অভিযোগ জানিয়ে তার সুষ্ঠ প্রতিকারের অনুরোধ জানানো হয়েছে৷ অভিযোগগুলির প্রাপ্তি স্বীকারও করেছে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক৷ এই সাংবাদিক নিয়োগের ক্ষেত্রে বিস্তর ঘোটালা হয়েছে বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে৷ অভিযোগে বলা হয়েছে উত্তর জেলা থেকে যে ব্যক্তিকে দূরদর্শনে নিয়োগ করা হয় তার বাড়ি ৫১নং ফটিকরায় (এসসি) বিধানসভা কেন্দ্রের ১২ নং ভাগে৷ ফটিকরায় দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় তাঁর পোলিং বুথ৷ তাঁর ভোটার তালিকার আইডি নং টিপি/০২/০৫১/০১৮২৯২ এবং তাঁর ভোটার ক্রমিক নং ৪৯১৷ ফটিকরায় বিধানসভা কেন্দ্রটি ঊনকোটি জেলায়৷ প্রশ্ণ উঠেছে আগরতলা দূরদর্শন কেন্দ্রে সাংবাদিক নিয়োগের ইন্টারভিউ প্রাক্কালে রাতারাতি ঐ ব্যক্তি ধর্মনগরের স্থায়ী বাসিন্দা হলেন কিভাবে৷ দূরদর্শন কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি স্থায়ী ঠিকানার প্রমাণপত্র কি দিয়েছেন? ধর্মনগর থেকে ফটিকরায়ের দূরত্ব ৬০ কিমি৷ চাকুরী প্রাপক ঐ ব্যক্তির মূল পেশা তামা কাসার দোকানের বাণিজ্য৷ ব্যবসাবাণিজ্য ঘরবাড়ি ফেলে তিনি ৫৬ নং বিধানসভা কেন্দ্রের বাসিন্দা হলেন কবে? তাছাড়া ঊনকোটি জেলায় সংবাদ কর্মীদের অভিযোগ ঐ ভাগ্যবানের এক্সডি-ক্যাম এবং গাড়িও নেই৷ ইন্টারভিউ’র দিন তিনি এক চ্যানেলের সাংবাদিকের ক্যামেরা নিয়ে যান এবং দু’ঘন্টার জন্য একটি গাড়িও ভাড়া করেন৷ প্রকৃত তথ্য গোপন করা ভারতীয় ফৌজদারি দন্ডবিধি অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ জেনেও কি ঐ সাংবাদিক(?) দূরদর্শনের সাংবাদিকতার তকমা নিতে দুঃসাহস দেখিয়েছেন৷ এর পেছনে শক্তি যুগিয়েছেন আগরতলা দূরদর্শনের বার্তা বিভাগের প্রধান৷ যিনি সম্প্রতি ধরাধরি করে ডিব্রুগড় থেকে আগরতলায় এসেছেন৷ একটি সরকারি রাষ্ট্রীয় প্রচার মাধ্যমের সঙ্গে ভূয়ো স্থায়ী ঠিকানা এবং ভাড়া করা ক্যামেরা ও গাড়ি দেখিয়ে সরকারি সংবাদ চ্যানেলের চাকুরী বাগিয়ে নেওয়া সহজসাধ্য নয় বলেই এলাকার সংবাদকর্মীদের অভিমত৷ শুধু ধর্মনগরই নয়, খোয়াই ও ধলাই জেলাতেও নিয়োগ নিয়ে ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে৷
এদিকে, এই অবৈধ নিয়োগের বিরুদ্ধে জেলায় জেলায় সাংবাদিকরা আন্দোলমুখী হতে চলেছেন৷ জানা গিয়েছে, শীঘ্রই আগরতলা দূরদর্শন কেন্দ্রে বিভিন্ন জেলার সাংবাদিকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করবেন৷ এই অবৈধ নিয়োগ বাতিল করা না হলে আগামীদিনে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন জেলাস্তরের সাংবাদিকরা৷
এই ঘটনা দূরদর্শনের সাংবাদিক নিয়োগ নিয়ে গুরুতর জালিয়াতির অভিযোগ সম্পর্কে রাজ্য সরকারও নীরব ভূমিকা পালন করছে৷ আগরতলা দূরদর্শন কেন্দ্রটি কার্যত একটি দূর্নীতির পীঠস্থানে পরিণত হয়েছে৷ একটি কায়েমি স্বার্থান্বেষী চক্র এই কেন্দ্রটিকে অর্থ দোহনের কামধেনুতে পরিণত করেছে৷ আর এই ভয়ানক পরিস্থিতির জন্য এক শ্রেণীর আধিকারীকদের অর্থলুলুপতা দায়ী বলে অভিযোগ উঠেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *