BRAKING NEWS

বাংলাদেশে এখনও ২৫টি ঘাঁটি রয়েছে, জানাল আত্মসমর্পণকারীরা, পূর্বোত্তরের জঙ্গীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে শক্তি বাড়াতে চাইছে এনএলএফটি ঃ ডিজিপি

extrimistনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১১ এপ্রিল৷৷ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লাগাতর অভিযান জারি থাকলেও বাংলাদেশে এনএলএফটি জঙ্গি গোষ্ঠীর এখনো ২৫টি ক্যাম্প রয়েছে বলে সোমবার স্বীকার করেন আত্মসমর্পণকারী বৈরীরা৷ এদিকে, এই জঙ্গি গোষ্ঠী পূর্বোত্তরের বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে শক্তি বৃদ্ধির প্রয়াস চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক কে নাগরাজ৷ ফলে, সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে চিন্তা আরো বাড়ল৷ কারণ, বিজিবি বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যে ভাবে অভিযান শুরু করেছে তাতে এনএলএফটি জঙ্গি গোষ্ঠীর অনেকেই বাধ্য হয়ে আত্মসমর্পণের পথ বেছে নিচ্ছে৷ তবে এদিন, আত্মসমর্পণকারী বৈরীরা এও জানিয়েছেন, এমন অনেক বৈরী দলের সদস্য রয়েছেন যারা বর্তমানে বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হয়ে গেছেন৷ বিষয়টি যথেষ্ট উদ্বেগের বলেই মনে করা হচ্ছে৷ কারণ, পূর্বোত্তরের বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সাথে যুক্ত হয়ে এনএলএফটি আগামীদিনে বড় ধরনের নাশকতার ছক কষতে শুরু করেনি তা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷
রবিবার কাঞ্চনপুরে আত্মসমর্পণকারী বৈরীদের আজ সংবাদ মাধ্যমের সামনে নিয়ে এসে রাজ্য পুলিশ তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন অভিজ্ঞতার বিষয় তুলে ধরে৷ ১২ জন এনএলএফটি বৈরী তাদের স্ত্রী এবং ৮ সন্তান নিয়ে আত্মসমর্পণ করে৷ সঙ্গে একটি একে ৪৭ রাইফেল, দুটি এসেলার, একটি ইনসাস, একটি জিথ্রি রাইফেল, দুটি গ্রেনেড, ১২টি ম্যাগজিন এবং ৩৬৯ রাউন্ড কার্তুজ নিয়ে তারা আত্মসমর্পণ করেন৷ এদিন রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশকের চেষ্টায় আত্মসমর্পণকারী বৈরীদের মধ্যে কয়েকজন তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানান৷ বাংলাদেশে ঘাঁটিতে তারা চরম আর্থিক সংকট এবং খাদ্য সংকটে ভুগছিল৷ এনএলএফটির নেতৃত্বরা তাদের নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও ভীষণ দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে জীবন অতিবাহিত হচ্ছিল৷ ফলে, ঘাঁটি থেকে পালিয়ে আত্মসমর্পণ করা ছাড়া তাদের আর কোন রাস্তা ছিল না বলে এদিন জানায় খুশিরাই রিয়াং৷ কিন্তু তার কাছ থেকে জানা গেছে, এখনো বাংলাদেশে এনএলএফটির ২৫টি ক্যাম্প রয়েছে৷ তাদের প্রধান বিশ্ব মোহন কোথায় রয়েছে সে সম্বন্ধে কোন কিছুই জানে না আত্মসমর্পণকারী বৈরীরা৷ কিন্তু খুশিরাই রিয়াং জানিয়েছে, বৈরী দলের এমন অনেক সদস্য রয়েছে যারা বর্তমানে কাগজে পত্রে বাংলাদেশী নাগরিক হয়ে গেছে৷ বাংলাদেশের সাপছড়িতে এনএলএফটির মুখ্য কার্যালয় থেকে পালিয়ে এসে ঐ বৈরীরা সপরিবারে আত্মসমর্পণ করেছে৷
এদিকে, রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক আত্মসমর্পণকারী বৈরীদের পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ নেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন৷ কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হল, এনএলএফটি জঙ্গি গোষ্ঠী পূর্বোত্তরের বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সাথে যুক্ত হওয়ার ক্রমাগত চেষ্টা চালাচ্ছে বলে গোয়েন্দা মারফত রাজ্য পুলিশ খবর পেয়েছে৷ পূর্বোত্তরের বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সাথে এনএলএফটি জঙ্গি গোষ্ঠী যুক্ত হয়ে গেলে স্বাভাবিকভাবেই তাদের শক্তি বৃদ্ধি হবে৷ তাতে আশঙ্কা করা হচ্ছে, আগামীদিনে বড়ধরনের নাশকতার লক্ষ্যেই এনএলএফটি পূর্বোত্তরের বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সাথে সম্পর্ক মজবুত করতে চাইছে৷ ফলে, এই ১২ জন আত্মসমর্পণকারী এনএলএফটি বৈরীদের কাছ থেকে বাংলাদেশের সমস্ত ঘাঁটির তথ্য সংগ্রহ করে তাদের দমনে পদক্ষেপ না নেওয়া হলে আগামীদিনে বড় ধরনের নাশকতার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *