BRAKING NEWS

দেশের নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর, গগৈকে গ্রেফতারের দাবিতে অভিযোগনামা বিজেপির

assam mapগুয়াহাটি, ১০ এপ্রিল, (হি.স.) : ভারতের নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগনামা দাখিল করেছে বিজেপি। দেশের সংবিধান নির্দেশিত নিয়মে প্রতিষ্ঠিত নির্বাচন কমিশনের মতো একটি স্বতন্ত্র সংস্থা সম্পর্কে সন্দেহ ব্যক্ত করে তাকে অসম্মান করার অভিযোগে নির্দিষ্ট আইনের ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করতে আর্জি জানিয়েছেন বিজেপি-র প্রদেশ নেতৃত্ব। দলের মুখপাত্র গুয়াহাটি হাইকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী বিজন মহাজন এই তথ্য দিয়ে বলেছেন, ২০০১, ২০০৬ এবং ২০১১ সালে অসম বিধানসভা নির্বাচনের সময় কিন্তু এভাবে নির্বাচন কমিশনের প্রতি সন্দেহের আঙুল তুলেননি। কিন্তু এবার ২০১৬ সালের নির্বাচনে কোনও নির্দিষ্ট তথ্য ছাড়াই কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আইনের ধারা উল্লেখ করে মহাজন বলেন, ভারতের নির্বাচন কমিশন একটি স্বতন্ত্র সংস্থা। তার বিরুদ্ধে এভাবে অসম্মান প্রদর্শন কিংবা সন্দেহের আঙুল তোলা আইনের পরিপন্থী। নির্বাচন কমিশনকে অসম্মান করা মানে ভারতের সংবিধানের অসম্মান করা। তাই, এ-ধরনের উদ্ভট প্রশ্ন তোলায় তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা দরকার।এদিকে, অবৈধ বাংলাদেশী, গুপ্তহত্যা ইত্যাদি বিষয়ের পাশাপাশি হাওয়ালার মাধ্যমে প্রাপ্ত টাকা বিজেপি ভোটারদের মধ্যে বিলি করছে বলে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যেরও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বিজেপি মুখপাত্র মহাজন। বলেন, কথা এবং কাজের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের কোনও সামঞ্জস্য নেই। কেননা, ২০০৪ সালে তদানীন্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রীপ্রকাশ জয়সওয়াল অসমে প্রায় ৫০ লক্ষের বেশি অবৈধ বাংলাদেশী রয়েছে বলে লোকসভাকে জানিয়েছিলেন। তাছাড়া ২০১৫ সালের ৩ মার্চ অসম বিধানসভার প্রশ্নোত্তরকালে রাজ্যের ভূমি ও রাজস্বমন্ত্রী ভূমিধর বর্মনও রাজ্যে ৩৮,১৮৬ জন অবৈধ বাংলাদেশীকে বিদেশী ট্রাইবুনাল চিহ্নিত করলেও তারা পলাতক বলে জানিয়েছিলেন। এর পরও ভোট-প্রচারে গিয়ে কী করে বলেন অসমে একজন বাংলাদেশীকে দেখিয়ে দিলে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিয়ে রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেবেন বলে ?মুখ্যমন্ত্রীকে বিজেপি মুখপাত্রের চ্যালেঞ্জ, একজন নয়, লক্ষ লক্ষ অবৈধ বাংলাদেশী অসমের নানা প্রান্তে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এমন কাণ্ডজ্ঞানশূন্য মন্তব্যের জন্য তাঁর (মুখ্যমন্ত্রী) বিবেক দংশন হওয়া উচিত ছিল, এজন্য তাঁর পরাজয় বরণ করা দরকার। মহাজন বলেন, গুপ্তহত্যাকারীদের শনাক্ত করে তাদের বিচার করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিন-তিনবার ক্ষমতায় এসেছেন তরুণ গগৈ। গত তিন মেয়াদের ১৫ বছরে একজন গুপ্তহত্যাকারীও শনাক্ত করার সদিচ্ছা দেখাননি। এবারও সেই একইভাবে গুপ্তহত্যার প্রসঙ্গ তোলে ভোট বৈতরণী পার হতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। হাওয়ালার প্রসঙ্গে মহাজনের চ্যালেঞ্জ, এ ব্যাপারে যদি তিনি এতই নিশ্চিত, তাহলে রাজ্যের গৃহদফতর তাঁর নিজের হাতে। কেন তিনি তাঁর পুলিশকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে কোনও নির্দেশ দিলেন না ? আসলে এবারের ভোটে নিশ্চিত পরাজয় টের পেয়ে দিশেহারা হয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *