শ্মশানঘাটের উন্নয়নের টাকাও দোহন করছেন নেতা আমলারা

scamনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৭ এপ্রিল৷৷ উন্নয়নমূলক কাজের অর্থ দোহনের পাশাপাশি শ্মশানঘাট উন্নয়নের অর্থও দোহন করার অভিযোগ মিলেছে৷ কল্যাণপুরে বহু পুরোনো শ্মশানঘাট  নতুন কাজ ও পুরাতনকে নতুন রূপে সাজে গড়ে তোলার জন্য কল্যাণপুর ব্লকের থেকে অর্থ বরাদ্দ হয়, কিন্তু মাঝপথে কাজ বন্ধ এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ কোথায় গেল অর্থ? কেনই মাঝ পথে কাজ বন্ধ  ঘটনা কল্যাণপুর ব্লক এলাকার  ডিলছোড়া দূরত্বে এক কথায় কল্যাণপুরের শহরের প্রাণকেন্দ্র নামে পরিচিত বাজার কলোনি গ্রাম৷ কল্যাণপুর বাজার কলোনি কুঞ্জবন, গোপাল নগর, পূর্ব কুঞ্জবন  সহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে মরদেহ নিয়ে সৎকারের  জন্য একমাত্র শ্মশানঘাট বাজার কলোনিতে আসেন সবাই৷ এক সময় খুবই জরাজীর্ণ  ছিল৷ বর্তমানে রাজ্যে  বাম সরকার গঠিত হওয়ার পর নতুন সাজে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল শ্মশানঘাটটি৷ কিছুদিন পর আবার কল্যাণপুর ব্লকের অর্থ আসে শ্মশান সংস্কারের জন্য এলাকাবাসীর দাবি ১০ লক্ষ টাকার প্রায় বাজেট আসে৷ তৎকালীন বিডিও ভাস্কর ভট্টাচার্য ছিলেন দায়িত্বে৷  তদারকি করত কল্যাণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত৷ এলাকাবাসীর দাবি মেনে মাখন চক্রবর্তীর সৎকাজে আসার সময় রাজ্য বিধানসভার মুখ্যসচেতক সমীর দেব সরকার বাজার কলোনি শ্মশানঘাটের জরাজীর্ণ  অবস্থা দেখে কল্যাণপুর পঞ্চায়েতের সদস্য সদস্যাদের  ও নেতৃত্বদের সঙ্গে শ্মশানঘাটে বসেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন শ্মশানঘাট  উন্নয়নের জন্য এবং লক্ষণীয় বিষয় দুমাস পরই যথারীতি কাজ শুরু হয় শুরুটা সুন্দর হলেও মাঝপথে থমকে পড়ল  কাজ৷ ক্ষোভে বৃহস্পতিবার সাত সকালে এলাকাবাসী জড়ো হয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন বিডিও’র  কাছে ডেপুটেশান প্রদান করার৷ সিদ্ধান্ত নিয়ে যথারীতি ১১টায় শুভ্রা গুপ্ত কল্যাণপুর বিডিওএর নিকট সাত দফা দাবি নিয়ে ডেপুটেশান প্রদান করেন৷  কল্যাণপুর গ্রাম  পঞ্চায়েতের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন দাবিগুলি যেন পূরণ হয়৷ কল্যাণপুর গাঁওসভার দিকে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ  যেন নজর দেন৷ এমন আরো অনেক অভিযোগ রয়েছে জনসাধারণের৷ উন্নয়নমূলক কাজ থমকে দিচ্ছেন কিছু কিছু মানুষ, যেখানে রাজ্য সরকার উন্নয়নের জন্য প্রচুর অর্থ খরচ করছেন সেখানে একাংশের লোকজনদের বদান্যতায় সরকারি অর্থের অপচয় ঘটে চলেছে৷ অবিলম্বে শ্মশানঘাটের উন্নয়ন সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গৃহীত না হলে এলাকাবাসী বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবেন বলে হুঁুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে৷