লোয়ারপোয়ায় সড়ক সংস্কারে নতুন এজেন্সি নিয়োগ করেও সুরাহা হয়নি, অবিরাম বর্ষণে ফের বিপর্যস্ত জাতীয় সড়ক, গভীর শঙ্কায় ত্রিপুরা

NH 6 PIC (1)নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১ এপ্রিল ৷৷ অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে৷ ফলে, আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়ক নিয়ে ভীষণ চিন্তায় রাজ্য সরকার৷ ইতিমধ্যেই জাতীয় সড়কের লোয়ারপোয়া সহ বিস্তির্ণ অংশ বিপর্যস্ত৷ স্বাভাবিক গতিতে যান চলাচল সম্ভব হয়ে উঠছে না বলে খবর৷ এদিকে, লোয়ারপোয়ায় জাতীয় সড়ক সংস্কারে নতুন এজেন্সি কেন্দ্রীয় ভূতল পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রক নিয়েগ করলেও সমস্যা এখনো সেই তিমিরেই৷ ফলে স্বাভাবিকভাবে চিন্তা বাড়ছে রাজ্যের৷
এদিকে, জাতীয় সড়কের ত্রিপুরার অংশ সংস্কারের কাজ যথেষ্ট সন্তোষজনকভাবে না হলেও অনেকটাই ভাল গতিতে চলছে৷ কিন্তু আসামের অংশের কাজ নিয়ে নানা জটিলতায় আগামীদিনের জাতীয় সড়ক স্তব্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পূর্তমন্ত্রী বাদল চৌধুরী৷ শুক্রবার মহাকরণে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ইতিমধ্যে জাতীয় সড়কের আসামের অংশের কাজ খতিয়ে দেখে ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায় কেন্দ্রীয় ভূতল পরিবহন ও মহা সড়ক মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ির কাছে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন৷ রাজ্য সরকারও ক্রমাগত এই সমস্যা নিয়ে কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করে চলেছে৷ অতিসত্বর জাতীয় সড়কের আসামের অংশের সংস্কারের কাজ সম্পন্ন করার জন্য রীতিমত দরবার করা হচ্ছে৷ পূর্তমন্ত্রী জানান, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ভূতল পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি জানিয়েছেন আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়কের আসামের অংশের সংস্কারের কাজের জন্য যে এজেন্সিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তারা নানা তালবাহানা এবং কাজে গাফিলতি করায় তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে৷ নতুন এজেন্সিকে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ তিনি আশা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, শীঘ্রই আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়কে আসামের অংশের সংস্কারের কাজ সম্পন্ন করার সম্ভব হবে৷ তবে, ক্রমাগত বৃষ্টিপাত চলতে থাকলে আগামীদিনে ফের স্তব্ধ হয়ে যেতে পারে জাতীয় সড়ক৷ তাতে বিশেষ করে জ্বালানি সংকট ফের দেখা দিতে পারে৷
এদিন পূর্তমন্ত্রী আগরতলায় নির্মীয়মাণ উড়ালপুলের কাজ সম্পর্কে বলেন, সব ধরনের নিরাপত্তা এবং তদারকির ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ পূর্ত দপ্তরের বাস্তুকারদের পাশাপাশি রাজ্য সরকার বেসরকারি কনসালটেন্ট নিয়োগ করেছে উড়ালপুলের কাজের তদারকি করার জন্য৷ যাতে কোন ধরনের অনিয়ম এবং গাফিলতি এড়ানো সম্ভব হয়৷
এদিকে, নাগেরজলায় যানজটের প্রশ্ণে তিনি জানিয়েছেন, বিকল্প রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচলের যে চিন্তাভাবনা করা হয়েছিল তাতে একমাত্র যোগেন্দ্রনগর বিদ্যাসাগর সেতু হয়ে বাইপাস দিয়ে আমতলী পর্যন্ত রাস্তাটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবদিক দিয়ে উপযোগী৷ তাতে ঐ রুট দিয়ে বড় গাড়ি চলাচল করানো সম্ভব হবে৷ কিন্তু নাগেরজলায় যান জট এড়ানো অনেকটাই মুশকিল বলে তিনি জানিয়েছেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *