নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ ফেব্রুয়ারি৷৷ ত্রিপুরা ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন নিগমে কর্মরত কর্মচারীদের গ্র্যাচুয়েটির টাকা মিটিয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে মতভেদ তুঙ্গে উঠেছে৷ শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হয়ে গ্র্যাচুয়েটির টাকা আদায় করে নিতে বাধ্য হচ্ছেন প্রাপকরা৷ এসংক্রান্ত বিষয়ে হাইকোর্ট ত্রিপুরা ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন নিগমকে দুটি রিটপিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে গ্র্যাচুয়েটির টাকা নয় শতাংশ সুদ সহকারে দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে৷ সংবাদ সূত্রে জানা যায়, ত্রিপুরা ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন নিগমে কর্মরত দুই কর্মী অবসর গ্রহণের পর তাদের গ্র্যাচুয়েটির ন্যাযা টাকা পাচ্ছিলেন না৷ নিয়ম অনুযায়ী অবসগ্রহণের ৩০ দিনের মধ্যে গ্র্যাচুয়েটির পুরো টাকা মিটিয়ে দেওয়ার কথা রয়েছে৷ সেক্ষেত্রে ৩০ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও গ্র্যাচুয়েটির টাকা পাননি তারা৷ সে কারণেই অবসরপ্রাপ্ত দুই কর্মী হাইকোর্টে রিটপিটিশন দাখিল করেছিলেন৷ হাইকোর্ট এই মামলার রায়ে দ্রুত নয় শতাংশ সুদ সহ গ্র্যাচুয়েটির টাকা মিটিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছে৷ উল্লেখ্য, অধিগৃহীত সংস্থার কর্মচারীদের একমাত্র সম্বল হল গ্র্যাচুয়েটি বাবদ প্রাপ্য টাকা৷ কারণ, তারা নিয়মিত পেনশন পাননা৷ ইপিএফ পেনশন বাবদ কিছু টাকা পেয়ে থাকেন৷ এরপরও অর্জিত অধিকার হরণ করার যে চেষ্টা চলেছে তা নিতান্তই দুঃখজনক৷ সংগঠিত শ্রমিক কর্মচারী সংগঠনগুলো গ্র্যাচুয়েটির টাকা আদায় করার জন্য তাদেরকে তেমন কোন সাহায্য করছে না৷ কর্মচারী সংগঠনগুলো সঠিক দায়িত্ব পালন করলে গ্র্যাচুয়েটির টাকা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মিটিয়ে দিতে বাধ্য থাকত অধিগৃহীত সংস্থাগুলো৷ কারণ, অধিগৃহীত সংস্থাগুলোর কর্মীদের গ্র্যাচুয়েটিরটাকা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রয়েছে৷ তা সত্ত্বেও অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের সঙ্গে তালবাহান চালিয়ে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ৷
2016-02-17