তেজপুর (অসম), ১১ ফেব্রুয়ারি, (হি.স.) : দারিদ্র্যসীমারেখার নীচের ভোটারদের মধ্যে বিলি করতে এবং তাঁদের প্রলোভিত করতে গোপনে মজুত স্বাস্থ্য বিভাগের ওষুধযুক্ত প্রায় সাত হাজার মশারি জনৈক স্থানীয় কংগ্রেস নেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছেন জনতা| অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, নির্বাচনের আগে আগে ভোটারদের মধ্যে বিলি করতে রাঙাপাড়ার কংগ্রেসি বিধায়ক ভীমানন্দ তাঁতির ঘনিষ্ঠ আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সদস্য জনৈক জালাল উদ্দিন আহমেদ, জেলা পরিষদ সদস্য প্রাঞ্জল তাঁতি এবং বিন্দুকুড়ি গ্রামপঞ্চায়েত সভানেত্রী রিপা বরারা স্থানীয় এখ কংগ্রেস নেতা ইউসুফ আলির বাড়িতে ওই প্রায় সাত হাজার মশারি মজুত করেছিলেন| কংগ্রেসি নেতার বাড়িতে বৃহ সংখ্যার এই ওষুধষুক্ত মশারি মজুত রয়েছে বলে গোপন খবর কানে কানে ফাঁস হয়ে গেলে একাংশ জনতা গিয়ে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত কার্যালয় ঘেরাও করে তার সত্যতা জানতে চান| কিন্তু কর্তৃপক্ষ এই খবরের কোনও ভিত্তি নেই বলে জানালে উত্তেজিত জনতা নিজেরাই গিয়ে ইউসুফ আলির বাড়ি থেকে ওই সাত হাজারখানেক ওষুধযুক্ত মশারি উদ্ধার করেন| জানা গেছে, ম্যালেরিয়া নির্মূলিকরণ প্রকল্পের অধীনে গরিবদের মধ্যে বিলি করতে মশারিগুলি গত ২০১০ সালে তৈরি করে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন রাজ্য সরকারের কাছে পাঠিয়েছিল| এগুলির মেয়াদ ইতিমধ্যে পূর্ণ হয়ে গেছে| মশারিগুলি সময়মতো বিলি না করে এখন তাদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পর নির্বাচনের আগে ভোটারদের আকৃষ্ট করতে কংগ্রেসিরা নিকৃষ্ট রাজনীতিতে নেমেছে বলে ওয়াকিবহাল মহল অভিযোগ তুলেছে| তাছাড়া সুতা-কম্বল-মশারি বিলির ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের বিধি-নিষেধকেও রাজ্যের কংগ্রেস সরকার তথা কংগ্রেসিরা অবজ্ঞা করছে বলেও অভিযোগ|