নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৯ জানুয়ারি৷৷ যোগাযোগ ব্যবস্থার আরো উন্নয়ন ঘটিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বহুমুখী অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করার লক্ষ্যেই এগিয়ে চলছে দুদেশ৷ শুক্রবার সোনামুড়ার জুমের ঢেপায় এসে এমনই মত ব্যক্ত করলেন দিল্লিস্থিত বাংলাদেশ হাই কমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলি৷ জুমের ঢেপার ব্যানার্জি বাগান এলাকায় ৭১ এর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসালয় ও ট্রেনিং ক্যাম্প ছিল৷ যুদ্ধে নিহত বহু মুক্তিযোদ্ধাকে কবরস্ত করা হয়েছিল এই এলাকায়৷ এলাকাটি পরিদর্শন করতেই হাই কমিশনারের এই জুমেরঢেপা সফর৷
[vsw id=”pqFs3Y6czMs” source=”youtube” width=”425″ height=”344″ autoplay=”yes”]বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারত তথা ত্রিপুরার অবদান অনস্বীকার্য৷ সীমান্ত থেকে অনেকটা দূরে সোনামুড়ার জুমেরঢেপার বর্তমান ব্যানার্জি বাগান এলাকায়ও ছিল বাংলাদেশী মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং ক্যাম্প৷ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আঘাতে আহত হয়ে মুক্তিযোদ্ধারা এই এলাকাতে এসেই চিকিৎসিত হতেন৷ হানাদারদের গুলিতে নিহত হওয়া বহু মুক্তিযোদ্ধাকে সমাধিস্থ করা হয়েছে এখানেই৷ তিনদিনের রাজ্য সফরে এসে তাই এই এলাকাটি সরজমিনে পরিদর্শন করে সে দিনের স্মৃতিচারণ করে নষ্টালজিক হলেন দিল্লিস্থিত বাংলাদেশ হাই কমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলি৷ হাই কমিশনারের মত সে ৭১ থেকেই দুুদেশের মধ্যে একটা নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন হয়েছে৷ বর্তমানে দুদেশের মধ্যে আমূল যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা চলছে৷ এই যোগাযোগের আরো উন্নয়ন ঘটিয়ে দুদেশের মধ্যে বহুমুখী অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করাই লক্ষ্য৷
এই স্মৃতিবিজড়িত এলাকাটিতে একটি স্মৃতিসৌধ গড়ার প্রস্তাব রেখেছেন বাংলাদেশ হাইকমিশনার৷ তার এই সফরে সফরসঙ্গী ছিলেন এসিস্টেন্ট হাই কমিশনার সৈকত হুসেন৷ উপস্থিত ছিলেন সিপাহিজলার ডিএম প্রদীপ চক্রবর্তী স্থানীয় নলছড় ব্লকের বিডিও সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা৷
এদিকে, ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মোয়াজ্জেম আলী ত্রিপুরা সফরে এসে আজ আখাউরা সীমান্ত পরিদর্শনে পেলেন৷ সেখানে নবনিমিত আখাউরা স্থল বন্দর ও জিরো পয়েন্ট ঘুরে আধিকারিকদের সাথে সেখানকার বিষয়ে খবরাখবর নেন৷
দায়িত্ব গ্রহনের পর ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মোয়াজ্জেম আলী এই প্রথম ত্রিপুরা সফরে রাজ্যে এলেন গতকাল৷ আজ তিনি আখাউরা সীমান্ত পরিদর্শনে গেলেন৷ সেখানে নবনিমিত আখাউরা স্থল বন্দর ও সীমান্তের জিরো পয়েন্ট ঘুরে দেখেন এবং আধিকারিকদের সাথে ও কথা বলেন৷ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্ণের উত্তরে গ্যালারি নির্মান প্রসঙ্গে তিনি জানান বিষয়টি বর্তমানে বিবেচনাধীন৷ গ্যালারি নির্মান এর আগে দরকার সীমান্তের যোগাযোগ ব্যবস্থা আমূল পরিবর্তন করতে হবে তাতে এক সাথে একাধিক গাড়ী চলাচল করতে পারে৷ তারপর দুই দেশের সরকার সহমত পোষন করলেই গ্যালারি নির্মান করা হবে৷
সন্থাসবাদী প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে হাই কমিশনার বলেন দুই প্রতিবেশি রাষ্ট্রের সম্পর্ক মজবুতে রাখা এবং শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ভূখন্ডে যাতে কোন ও সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি গড়তে না পারে তারপর দৃঢ় পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন এছাড়া বাংলাদেশে অবস্থানরত বহু ভারতীয় সন্ত্রাসবাদীকেও ভারতের হাতে তুলে দিয়েছেন হাসিনা৷ তাই তিনি আশা ব্যক্ত করেন দুই দেশের মধ্যে সম্প্রতি ও ভ্রাতৃত্ব বোধ বজায় রাখার জন্য ভারতও যেন একই পদক্ষেপ গ্রহন করে৷
এছাড়া ও ভারত বাংলাদেশের মধ্যে রেল যোগাযো সম্পর্কে তিনি জানান ১৯৬৫ সালে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের আগে ৯টি চেক পোষ্টের মাধ্যমে ছিল তার সবকটিকে পুনরুদ্ধার করার জন্য শেষ হাসিনা বিশেষ ভাবে উদ্যোগী হয়েছেন৷ এজন্য ভারতীয় রেল মন্ত্রকের সাথেও যোগাযোগ করেছেন বাংলাদেশ৷
দায়িত্ব পেয়ে প্রথম বারের মত ত্রিপুরা সফরে এসে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মোয়াজ্জেম আলী আজ আখাউরা সীমান্ত পরিদর্শনে গেলেন৷ আখাউরা সীমান্ত পরিদর্শন শেষে হাই কমিশনার মোয়াজ্জেম আলী জানান অদূর ভবিষ্যতে যোগাযোগ ও বাণিজ্যে ভারত বাংলাদেশের দুদেশের মধ্যে নতুন দিগন্ত সূচনা হতে যাচ্ছে৷
2016-01-30