সোনারপুর, ১ আগস্ট (হি.স.) : বছর নয়েকের শিশুকে মারধর ও মানসিক অত্যাচারের অভিযোগে মা ও সৎ বাবাকে গ্রেফতার
করল সোনারপুর থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম মনীষা দাস ও অসিত দাস। দক্ষিণ ২৪ পরগণার সোনারপুর থানার কোদালিয়া কালীবটতলা এলাকার ঘটনা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। অভিযুক্তদের বুধবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে।
নির্যাতিতা চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীর বয়ান অনুযায়ী কোদালিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে জুভেনাইল জাস্টিস কেয়ার অ্যান্ড প্রটেকশান অ্যাক্টে মামলা করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ। মঙ্গলবার ওই ছাত্রীটি স্কুলে এসে অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি সামনে আসে।
ওই শিশুর এক বছর বয়সেই তার বাবা মারা যান। মায়ের কাছেই বড় হতে থাকে সে। প্রথম শ্রেণীতে ভর্তির পর পেশায় সেলসম্যান অসিত দাস নামে এক যুবক তাকে টিউশানি পড়াতে শুরু করেন। আর সেই সূত্রেই তার মা মনীষার সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় ওই যুবকের। কিছুদিনের মধ্যে দুজনে বিয়ে ও করেন। অভিযোগ এরপর থেকেই ছোট্ট শিশুটির উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার বাড়তে থাকে। অভিযোগ সৎ বাবা ও মা দুজনেই তাকে মারধোরের পাশাপাশি মানসিক অত্যাচার ও করতো। মা সকালে আয়ার কাজের জন্য বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গেলে বাড়ির সমস্ত কাজ ও করতে হত তাকে। অভিযোগ তখন অসিত দাস তার উপর অত্যাচার করতো। এমনকি তাকে দুবেলা পেট ভরে খেতেও দেওয়া হত না। দিনের পর দিন এই অত্যাচারে মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করে ছোট্ট শিশুটি। দু’দুবার আত্মহত্যার চেষ্টা ও করে সে। মঙ্গলবার বোতল ভর্তি বায়োকেমিকের ওষুধ নিয়ে স্কুলে যায় সে। সেখানে বন্ধুদের জানায় সে আর পৃথিবীতে থাকতে চায় না। এরপরেই অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। সহপাঠীদের কাছে বিষয়টি জানার পর স্কুলের শিক্ষিকারা চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীর মুখ থেকে সমস্ত ঘটনার কথা জেনে এই বিষয়ে সোনারপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযুক্ত বাবা ও মাকে গ্রেফতার করে সোনারপুর থানার পুলিশ। অন্যদিকে শিশুটিকে উদ্ধার করে হোমে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ।
