জিরানীয়া ও তেলিয়ামুড়ায় সাব ট্রেজারী অফিসের উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা,/তেলিয়ামুড়া, ১ আগস্ট৷৷ আজ জিরানীয়া সাব ট্রেজারী অফিসের উদ্বোধন হয়৷ উদ্বোধন করেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী মানিক দে৷ জিরানীয়া মহকুমা প্রশাসন কার্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত সাব ট্রেজারী অপিসের উদ্বোধনী ভাষণে পঞ্চায়েত মন্ত্রী মানিক দে বলেন, জিরানীয়ার জনগণের সুবিধার জন্য সাব ট্রেজারী অফিস আরেকটি বিকেন্দ্রীয়করণ৷ এই কাজের জন্য জিরানীয়ার মানুষকে আর আগরতলায় ছুটতে হবে না৷ তিনি বলেন, রাজ্যের মানুষ শান্তি-সম্প্রীতি ঐক্য বজায় রাখলে এরকম উন্নয়নমূলক সুবিধাজনক কর্মসূচী সরকার চালিয়ে যাবে৷ তিনি বলেন, উন্নয়ন বিরোধী একটা বিভেদকামী শক্তি এরাজ্যের ঐক্য বিনষ্ট করতে চাইছে৷ তিনি রাজ্যের শান্তিকামী মানুষকে বিভেদকামী শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানান৷
অনুষ্ঠানে রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতি উপজাতির মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি এ ডি সি-র মুখ্যকার্য নির্বাহী সদস্য রাধাচরণ দেববর্মা৷ তিনি বলেন, এই অফিসের উদ্বোধন খুবই আনন্দের বিষয়৷ রাজ্যের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে৷ এছাড়া, বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের সভাপতি বিধায়ক মনোরঞ্জন দেববর্মা ও পশ্চিম জেলা সাবট্রেজারী কার্যালয়ের আধিকারিক উষারঞ্জন মগ৷ স্বাগত ভাষন দেন জিরানীয়া সাব ট্রেজারী কার্যালয়ের আধিকারিক মুনমুন দেববর্মা৷ অনুষ্ঠানে রাণীরবাজার পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন মীরা ভট্টাচার্য, জিরানীয়া নগর পঞ্চায়েত চেয়ারপার্সন প্রদীপ দেবনাথ ও জিরানীয়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সুচিত্রা দেবনাথ উপস্থিথ ছিলেন৷ অনুষ্ঠান শেষে অতিথিগণ মহকুমা প্রশাসন কার্যালয় প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপন করেন৷
এদিকে, তেলিয়ামুড়া মহকুমাবাসীর দীর্ঘ দিনের চাহিদার ফসল হিসেবে আজ বিকেল চার ঘটিকায় তেলিয়ামুড়া শাসকের কার্যলয়ে উদ্বোধন হল সাব-ট্রেজারী অফিসে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্যের মৎস সমবায় ও অগ্ণি নির্বাপক দপ্তরের মন্ত্রী খগেন্দ্র জমাতিয়া৷ এছাড়াও অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খোয়াই জেলার জেলা সভাধিপতি সাইনি সরকার৷ বিধায়ক মনিন্দ্র চন্দ্র দাস, বিধায়িকা গৌরী দাস, মহকুমা শাসক জয়ন্ত দে, এমডিসি ধনঞ্জয় দেববর্মা সহ অন্যান্যরা৷ প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও ফিতা কেটে সাব-ট্রেজারী অফিসের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী খগেন্দ্র জমাতিয়া৷ আলোচনা করতে গিয়ে জেলা সভাপতি সাইনি সরকার বলেন, সরকারী সুযোগ সুবিধা গুলি জনগনের হাতের নাগালে এনে দেওয়ার প্রচেষ্টা প্রতিনিয়ত চালাচ্ছে রাজ্য সরকার৷ কারন এই অফিসটি মহকুমার সবগুলি দপ্তরের কাজের ভূমিকা রাখে৷ এর পর আলোচনা কছরেন মন্ত্রী খগেন্দ্র জমাতিয়া৷ তিনি বলেন, এখন থেকে মহকুমার রেজিষ্ট্রির জন্য আর খোয়াই, যেতে হবে না, অনেক গরিব লোকের পয়সা ও বাঁচবে৷ দীর্ঘ দিনের দাবী ছিল জনগনের একটি সাব-ট্রেজারী অফিস হওয়ার৷ কারন মহকুমা ঘোষনা হয়ে গেছে অনেক আগে থেকেই কাজ ও চলছে৷ তাই এই অফিসটি জনগনের কাজে লাগবে৷