নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ ফেব্রুয়ারি৷৷ ভোটার তালিকা থেকে সংগঠনের প্রকৃত ভোটারদের অবৈধভাবে বাতিল করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ত্রিপুরা বার এসোসিয়েশনের আসন্ন নির্বাচন বয়কট ও ভোটদানে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস লিগ্যাল এন্ড হিউম্যান রাইটস ডিপার্টমেন্টের আইনজীবীরা৷ এদিন ত্রিপুরাবার এসোসিয়েশনে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষে বর্ষীয়ান আইনজীবী পীযূষ কান্তি বিশ্বাস এই সংবাদ জানিয়েছেন৷
আগামী ২৮ শে ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরা বার এসোসিয়েশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ প্রতিবছরের মতো এবারও এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নেয় আইনজীবীদের অন্যতম সংগঠন ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস লিগ্যাল এন্ড হিউম্যান রাইটস ডিপার্টমেন্ট৷ সে মতো ১৫টি কার্যকরী সদস্যদের নামও ঘোষণা করে সংগঠন৷ কিন্তু ভোটার তালিকা প্রকাশের পর দেখা যায়, র াজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সমীর রঞ্জন বর্মণ সহ সংগঠনটির ৭২ জন সক্রিয় সদস্যদের নাম ভোটার তালিকায় নেই৷ নাম নবীকরণ না করানোর জন্যই ৭২ জন আইনজীবীর নাম ভোটার তালিকা থেকে বাতিল করা হয়েছে৷ এক্ষেত্রে ত্রিপুরা বার এসোসিয়েশনের নিয়মের ৮ নম্বর ব্যাখ্যা অনুযায়ী নাম বাতিলের আগে ১৫ দিনের সময় দিয়ে নোটিশ পর্যন্ত দেওয়া হয়নি৷ ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস লিগ্যাল এন্ড হিউম্যান রাইটস ডিপার্টমেন্ট এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে৷ বৃহস্পতিবার ত্রিপুরা বার কাউন্সিলে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষে পীযূষ কান্তি বিশ্বাস জানান, এবছর শাসক দলীয় আইনজীবীদের সংগঠন চাপে রয়েছে৷ তাদের জয়কে সুনিশ্চিত করতেই বিরোধী সংগঠনের প্রকৃত ভোটারদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে৷ এরই প্রতিবাদে ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস লিগ্যাল এন্ড হিউম্যান রাইটস ডিপার্টমেন্ট আসন্ন ত্রিপুরা বার কাউন্সিলের নির্বাচন বয়কট এবং ভোটদানে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান রাজ্যের বর্ষীয়ান আইনজীবী পীযূষ কান্তি বিশ্বাস৷
সাংবাদিক সম্মেলনে বর্ষীয়ান আইনজীবী পীযূষ কান্তি বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান ত্রিপুরা বার কাউন্সিলের কার্যকরী কমিটি একের পর এক অবৈধ কাজ করে চলছে৷ গত এক ব ছরের হিসাব ও ঠিক করে সদস্যদের কাছে প্রকাশ করেনি৷ আইনজীবীদের ওয়েল ফেয়ার ফান্ডের অডিট রিপোর্টও ঠিক করে প্রকাশ করেনি৷ উল্লেখ্য, ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস লিগ্যাল সেল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে এবং ভোট বয়কট করলে ত্রিপুরা বার কাউন্সিলের ক্ষেত্রে এক নজির বিহীন ঘটনা হবে৷
2016-02-19

