নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ জুন৷৷ ত্রিপুরায় করোনার সংক্রমণ লাগাতর উঠা-নামা করছে৷ কিন্তু মৃত্যু মিছিল দীর্ঘায়িত হওয়ায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার অবসান হচ্ছে না৷ এদিকে, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় করোনা আক্রান্তে লাগাতার শীর্ষ হারে বৃদ্ধি চিন্তা অনেকটাই বাড়িয়েছে৷ তবে, দৈনিক সুস্থতার হার কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে৷
ত্রিপুরায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৫৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে৷ তাতে ৫৩৬ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ মিলেছে৷ দৈনিক আক্রান্তের হার সামান্য কমে হয়েছে ৫.৬২ শতাংশ৷ এদিকে, আরও ৫ জনের মৃত্যু ত্রিপুরায় করোনাকালে চিন্তা রীতিমতো বাড়িয়েই রেখেছে৷ কারণ, প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর খবরে উদ্বিগ্ণ গোটা রাজ্য৷ অবশ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪৬ জন করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্তিও পেয়েছেন৷ তবে চিন্তা এখনও বাড়িয়ে রেখেছে, নতুন করে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ১৬০ জন শুধু পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় অবস্থান করছেন৷ তাতে, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা আবারও সংক্রমণে শীর্ষস্থানে রয়েছে৷ বর্তমানে ত্রিপুরায় সক্রিয় করোনা আক্রান্ত রয়েছেন ৪৬৩৫ জন৷
স্বাস্থ্য দফতরের মিডিয়া বুলেটিন অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরটি-পিসিআরে ৬৫৩ এবং রেপিড অ্যান্টিজেনের মাধ্যমে ৮৮৯১ জন মোট ৯৫৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে৷ তাতে, আরটি-পিসিআর ৬৮ জন এবং রেপিড অ্যান্টিজেনে ৪৬৮ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ মিলেছে৷ সব মিলিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৫৩৬ জন নতুন করোনা সংক্রামিতের খোঁজ পাওয়া গেছে৷
তবে, সামান্য স্বস্তির খবরও রয়েছে৷ গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪৬ জন করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেয়েছে৷ তাতে, বর্তমানে করোনা আক্রান্ত সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৪৬৩৫ জন৷ প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় এখন পর্যন্ত ৬০,৩৮৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন৷ তাদের মধ্যে ৫৫,০৫৬ জন করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেয়ে সুস্থ হয়েছেন৷ বর্তমানে ত্রিপুরায় করোনা আক্রান্তের হার হয়েছে ৫.২০ শতাংশ৷ তেমনি, সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৯১.২৭ শতাংশ৷ এদিকে মৃতের হার হয়েছে ১.০৫ শতাংশ৷ নতুন করে ৫ জনের মৃত্যুর ফলে এখন পর্যন্ত ত্রিপুরায় ৬৩১ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন৷
স্বাস্থ্য দফতরের মিডিয়া বুলেটিনে আরও জানা গিয়েছে, ক্রমাগত পশ্চিম জেলা সংক্রমণে শীর্ষে থাকছে৷ গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে পশ্চিম জেলায় ১৬০ জন, দক্ষিন জেলায় ৫৮ জন, গোমতি জেলায় ৪৫ জন, ধলাই জেলায় ৫২ জন, সিপাহীজলা জেলায় ৪৩ জন, উত্তর ত্রিপুরা জেলায় ৬৫ জন, ঊনকোটি জেলায় ৮২ জন এবং খোয়াই জেলায় ৩১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন৷ তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রত্যেক জেলায় করোনার সংক্রমণ অতি দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে৷