আগরতলা, ১৭ মে (হি.স.) : ত্রিপুরা সরকারের মুখ্যসচিব বিভিন্ন সরকারি দফতর, সংস্থার অফিসগুলি পরিচালন সম্পর্কে গতকাল এক আদেশ জারি করেছেন। এই আদেশে গত ৩ মে জারিকৃত আদেশের উল্লেখ করে বলা হয়েছে, সারা রাজ্যে পুনরায় আদেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত অফিসে কাজের সময় সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪-টা হবে।
এছাড়া, হেড অব অফিসের দ্বারা তৈরি রোস্টার অনুযায়ী ৫০ শতাংশ নন গ্যাজেটেড কর্মচারীরা বাড়ি থেকে কাজ করবেন। তবে পুলিশ, শহরে স্বশাসিত সংস্থা, জেলা প্রশাসন, পানীয়জল সরবরাহ, বিদ্যুৎ, অগ্নি নির্বাপণ ও আপৎকালীন পরিষেবা, কারাগার, সমাজকল্যাণ দফতরের হোম ইত্যাদি জরুরি পরিষেবার সাথে জড়িত দফতরগুলির কাজকর্ম স্বাভাবিক নিয়মেই চলবে। এ ব্যাপারে কোনও সংশয় উৎপন্ন হলে সংশ্লিষ্ট দফতরের সচিব সিদ্ধান্ত নেবেন।
তবে যাঁরা বাড়ি থেকে কাজ করবেন প্রয়োজনে তাঁদেরও হেড অফিস ডাকতে পারবে। উল্লিখিত ৩ মে-র আদেশ করোনা-কারফিউ এবং কন্টেইনমেন্ট জোনের বাইরে থাকা অফিসগুলির ক্ষেত্রে কার্যকর হবে। কিন্তু করোনা-কারফিউ এবং কন্টেইনমেন্ট জোনের আওতাধীন এলাকার সরকারি অফিস, সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে বলা হয়েছে স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, জল সরবরাহ, খাদ্য ও জনসংভরণ, ব্যাঙ্ক, অগ্নি নির্বাপণ, টেলি যোগাযোগ, পেট্রোল পাম্প, জেল, আদালত, সমাজকল্যাণ দফতর পরিচালিত হোম, বন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী, পুর পরিষেবা, তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর এবং সংবাদ মাধ্যম, বিমানবন্দর, রেলস্টেশন, স্থলবন্দর, এনআইসি, ডাক পরিষেবা, বীজ, সার বিক্রয় কেন্দ্র ইত্যাদি জরুরি পরিষেবার সাথে জড়িত অফিসও যথারীতি চলবে। বাকি অফিসগুলি হেড অফিসের তৈরি রোস্টার অনুসারে কতিপয় কর্মচারী দিয়ে চলবে। উল্লিখিত জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী কর্মীরা কারফিউ এলাকা, কন্টেইনমেন্ট জোন এলাকার ভিতরে বাইরে যাতায়াত করতে পারবেন এবং সেজন্য তাঁদের নিজ নিজ দফতরের পরিচয়পত্রই যথেষ্ট বলে বিবেচিত হবে।
কিছু কিছু সরকারি কর্মচারী রয়েছেন যাঁরা কন্টেইনমেন্ট জোন, কারফিউ এলাকায় বসবাস করেন, অথচ সেই এলাকার বাইরে কাজ করেন। আবার কিছু কিছু কর্মচারী রয়েছেন যাঁরা কন্টেইনমেন্ট জোন/কারফিউ এলাকার বাইরে থাকেন কিন্তু কন্টেইনমেন্ট/কার্ফু এলাকায় কাজ করেন, এমন সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে যদি কেউ অফিস কর্তৃক জরুরি পরিষেবার সাথে যুক্ত থাকেন তা-হলে তাঁরা অফিস/সংস্থাগুলিতে আসা-যাওয়া করতে পারবেন। বাকিরা দফতরের রোস্টার অনুযায়ী চলবেন৷ কোনও দফতরের কাজ জরুরি পরিষেবা কিনা তা নিয়ে দ্বিধা সৃষ্টি হলে জেলাশাসক/দফতরের সচিব সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন। প্রসঙ্গত, বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা আইন-২০০৫-এ প্রাপ্ত ক্ষমতাবলে মুখ্যসচিব এই আদেশ জারি করেছেন।